দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী অপারেটর বাংলালিংক গতকাল (শনিবার) ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় একযোগে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সঙ্গে ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বার্ষিক ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন করেছে।

এই উদ্যোগে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও সামগ্রিকভাবে সুস্থতা এবং কল্যাণ নিয়ে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে ৫৬০ জনের বেশি কর্মী অংশ নেন।
কর্মী-কেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলায় বাংলালিংকের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বছর এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্ট্রেন্থ ইন অ্যাকশন, কেয়ার ইন এভরি স্টেপ।,’ যেখানে গুরুত্ব পায় সচেতনতার মাধ্যমে প্রাত্যহিক অভ্যাস গড়ে তোলা, কাজের ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রতি যত্নশীল আচরণ, সহকর্মীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি এবং ব্যক্তিগত সুস্থতায় নিয়মিত অনুশীলনের অভ্যাস।
সপ্তাহজুড়ে কর্মীদের মধ্যে সুস্থতা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নানামুখী কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলালিংক। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যক্তিগত পরামর্শ পর্ব, অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরাসরি নিরাপত্তা মহড়া, মননশীলতা চর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক সুস্থতা আয়োজন। প্রতিটি উদ্যোগই স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে তোলা, সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অনুশীলন এবং ভারসাম্যপূর্ণ এবং সচেতন জীবনযাপনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গতকাল সকালে ঢাকার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন থেকে ওয়াকাথন শুরু হয়। অন্যান্য শহরে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করেন। সদিচ্ছা এবং সচেতনতার মাধ্যমে ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার দিকে যাত্রা শুরু হয়, এ বার্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওয়াকাথনের নির্ধারিত পথে যাত্রা করেন বাংলালিংকের কর্মীরা।
টাইগার’স ডেনে ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ -এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে সহ প্রতিষ্ঠানটির লিডারশিপ টিমের সদস্যেরা। তাদের উপস্থিতি নিরাপদ, যত্নশীল এবং সহায়ক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরালো করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল কাদের বলেন, “ওয়াকাথনের মাধ্যমে এ সপ্তাহ অর্থবহভাবে শুরু হয়েছে। সুরক্ষা এবং সুস্থতা সাময়িক কোন বিষয় নিয়, বরং এটা আমাদের প্রতিদিনের গড়ে তোলা অভ্যাসের ব্যাপার – এ আয়োজন আমাদের সে বার্তাই দেয়। আমাদের কর্মীরা যখন নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় সহযোগিতা পান, তখন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানই আরও শক্তিশালী হয়। নিজেদের যত্ন নেওয়া, পরস্পরের খোঁজ রাখা এবং এমন এক কর্মপরিবেশ তৈরি করা যেখানে সুস্থতা স্বাভাবিকভাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অংশ, সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক আমাদের সেই মানসিকতাকে আরও দৃঢ় করেছে।”
কর্মীদের পাশাপাশি গ্রাহকদের সুরক্ষা এবং সুস্থতার প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। গ্রাহকেরা যেন তাদের কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বাংলালিংক তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকদের জন্য দুই ঘণ্টার ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয়।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org