দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিওনেল মেসি’র আরও একটি দূর্দান্ত হ্যাটট্রিকের সুবাদে বার্সেলোনা ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতলো প্রতিপক্ষ আয়াক্সের বিরুদ্ধে। আগের রাতে রিয়াল মাদ্রিদ রোনালদোর হ্যাটট্রিকের সুবাদে ৬-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শুরু করলে পরের রাতেই বার্সাও যেনো মেসিকে সাথে নিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার কথা জানিয়ে দিলো!
বার্সা কোচ জেরার্ড মার্টিনোর জন্যেও এটি একটি স্মরণীয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ অভিষেক হয়ে থাকলো। মাত্রই কদিন আগে বাবার মৃত্যু শোক এভাবে জয় দিয়ে কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবেন হয়তো তিনি নিজেও ভাবেননি।
খেলা শুরু পর প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ চিড়ে ফ্রি কিকের সাহায্যে গোলমুখ খুলেন মেসি। প্রথমার্ধে দুই পক্ষের আর কোনো গোল হয়নি। তবে এ সময় বার্সার রক্ষণবুহ্য বারবার ভেঙে যাচ্ছিলো আয়াক্সের পাল্টা আক্রমণে। গোলপোস্টের নীচে ভিক্টর ভালদেজের বিশ্বস্ত হাত গলে কোনো গোল আদায় করতে পারেনি আয়াক্স।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হবার ১০ মিনিট পর ৫৫ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে এসে সার্জিও বাসকেটসের বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে দারূণ একটি গোল করেন মেসি।
তবে এরমাঝে বার্সা গোলপোষ্টের ভিক্টর ভালদেজ দেখিয়েছেন তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। একের পর এক সেভ করে গেছেন দারূণ দক্ষতায়। পুরো ম্যাচে সেভ করেছেন সাতটি নিশ্চিত গোল, এরমাঝে আছে ৭৭ মিনিটে একটি পেনাল্টি গোল! অথচ এই মৌসুমই নাকি বার্সেলোনার হয়ে তার শেষ টুর্ণামেন্ট!
মেসির হ্যাটট্রিক গোলটি দেবার আগে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে নেইমারের চোখ ধাঁধানো ক্রস থেকে হেডে গোল করেছেন জেরার্ড পিকে। বার্সা এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। এরপর ৭৫ মিনিটে জাভির কাছ থেকে বল পেয়ে মেসি গোলপোস্টের সামনের জটলার ভেতর দিয়ে গোলরক্ষক এবং আয়াক্স খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ হতবাক করে দিয়ে তড়িৎ গতিতে বল জালে পাঠিয়ে হ্যাট্ট্রিক পূর্ণ করেন। ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই হ্যাটট্রিকের সাহায্যে মেসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সর্বমোট ৪টি হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন। সেই সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগে মোট ৬২টি গোল করে হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছেন রাউল গঞ্জালেসের সর্বোচ্চ ৭১ গোলের রেকর্ড!