দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকালের পর আজকে আবারো দূর্ঘটনার মুখোমুখি হলো যাত্রীবাহী রেলগাড়ি। তবে এবার হরতাল সমর্থনকারীদের শিকার হয়ে রেল লাইন উপড়ে ফেলায় করতোয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও দুটি বগি উল্টে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য আহতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও তুষভাণ্ডার রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লালমনিরহাট রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান জাবির এবং ট্রাফিক সার্জন মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, “ওই জায়গায় ১২০ ফুট রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল দুর্বৃত্তরা। ফলে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসার পর লালমনিরহাটমুখী করতোয়া এক্সপ্রেস ঘনকুয়াশার মধ্যে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি পুরোপুরি উল্টে যায়। এর ফলে সারাদেশের সাথে লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।”
রেল কতৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, “রেললাইনের ফিস প্লেট ও ফিস বোল্ট লাইন সরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, ফলে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এ বিভাগের বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ চারটি ট্রেন আটকা পড়ে আছে। স্টেশন ও তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
এর আগে বিরোধী দলের টানা ৮৪ ঘণ্টার হরতালের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার লালমনিরহাটের তিস্তা রেলওয়ে স্টেশনে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুৎ হলে নয় ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। লাইন মেরামত শেষে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হতে বিকাল হয়ে যেতে পারে বলে বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান জাবির জানিয়েছেন।