দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবরোধ ও হরতালের কারণে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিনমজুরদের দিন কাটছে এক অমানবিকভাবে। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খুব সামান্য পুঁজিও ভেঙে খাচ্ছেন। তাদের ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে শঙ্কিত।
১৮ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচির কারণে রাজধানীসহ দেশের ছোট পুঁজির ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব অনেকটাই হুমকির মুখে। অপরদিকে দিন মজুরদের নাই কোন কাজ। হরতালের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ বন্ধ। রাজধানীর ফুটপাতে দোকান করতে পারেন না অনেকে। যাদের মূল পেশা ফুটপাতে দোকানদারী। তারা আজ দিশেহারা। কিভাবে সংসার চালাবেন সে চিন্তায় তারা শঙ্কিত। রাজধানীতে এমন অনেক নিম্ম আয়ের মানুষ রয়েছে যারা ফুটপাতে দোকান চালিয়ে রুটি-রুজি করেন। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে সে ব্যবসা এখন বন্ধ। অনেকেই খুব সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা চালান। কিন্তু দোকানদারী না করতে পেরে সেই পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন। তারা পরবর্তীতে কি দিয়ে ব্যবসা করতে সে চিন্তায় এখন শঙ্কিত।
রাজধানীর ব্যাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অধিকাংশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ও এর নিয়ন্ত্রক সংস্থার অফিস, শিল্প মন্ত্রণালয়, রাজউক অফিসসহ এমন আরো অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে ওই এলাকায়। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রাহক-বিনিয়োগকারী আসে মতিঝিলে। ওই লোকগুলোর কাছে টুকিটাকি পণ্য বিক্রি করে জীবণ ধারণ করেন বহু মানুষ। চা-পানের দোকান করছে কেও। কেও আবার করছে জুতা সেলাই-পালিশের কাজ। কেও গরম কাপড় বিক্রি করেন। আবার কেওবা বিক্রি করেন কাঁচা তরি-তরকারি। হরতাল-অবরোধের কারণে এসব দোকান-পাট একেবারেই বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের পেট তো থেমে নেই। দোকান বন্ধ থাকলেও খাওয়াতো বন্ধ থাকবে না। দিন গেলেই চাল-ডাল-নুন-তেল কিনতে হয়। আবার মাস গেলে ঘর ভাড়াও দিতে হবে। কিভাবে কি হবে তা কেওই বুঝে উঠতে পারছে না। রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির বেশি প্রভাব পড়ে নিম্ন আয়ের লোকদের ওপর।
এ অবস্থা আরও কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। সরকার এবং বিরোধী দল যদি আলোচনায় বসে শান্তিপূর্ণ সমাধানে না আসেন তাহলে দেশের সর্বক্ষেত্রে নেমে আসবে এক অশনি সংকেত। যা কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।