দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈশ্বরদীতে সোমবার রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম (২৬) নামে এক যুবদলকর্মী ও খুলনায় বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি নেতা নিহত হয়েছে।
আমাদের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন জাহাঙ্গীর নামে এক যুবদল কর্মী। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুয়েল হোসেন জাহাঙ্গীরের বাড়ি শহরের বাজার সংলগ্ন আমবাগান এলাকায়। তিনি যুবদল কর্মী ছিলেন। সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালালে জাহাঙ্গীরসহ আরও তিন জন আহত হয়। ওই হামলায় অন্যান্যরা হলেন- আমান উল্লাহ ওরফে বুরু (৩৮), নয়ন হোসেন (৩০) ও সুমন (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরের কলেজ রোড এলাকায় অবস্থিত নয়ন, সুমন, পাভেলের দোকান ও আরামবাগ আবাসিক হোটেলে ভাঙচুর চালায়। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা এদেরকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমান উল্লাহ ওরফে বুরু ও জাহাঙ্গীরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাজশাহী যাওয়ার সময় পথেই রাত ১০ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু ঘটে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, অপর ঘটনায় খুলনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এম এল) প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড তৌহিদুল ইসলাম সবুজ (২৯) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সবুজ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।
গতকাল সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার ছাতিয়ানতলা দীঘির পাড়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ১টি পিস্তল, ১৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৬টি বোমা ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।