দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্যান্সার অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত ভয়ানক রোগ। যখন দেহের কোষে টিউমার কিংবা কোষ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখন দেহের ক্ষয়সাধন শুরু হয়, জড়িয়ে পড়ে দেহে ক্যান্সার। অধিকাংশ লোকই ক্যান্সার আক্রান্ত হলে হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। একটি গবেষণায় জানা গেছে, মানুষ তাঁর দেহকে সঠিক ভাবে নির্দেশনা দিলে চিকিৎসা গ্রহণ না করেই দেহে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা সম্ভব।
ক্যান্সারের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ নেই তবে বেশ কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে। তবে ক্যান্সার কোষ আক্রমণকারী কোষ নয়, এটি দেহের ভেতরের কোষ যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয়। সেক্ষেত্রে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঐসব কোষকে দেহের জন্য হুমকি হিসাবে ধরে না। ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে ক্যান্সার কোষ বর্ধিত হতে থাকে।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হচ্ছে যেন তারা ক্যান্সার কোষ সনাক্ত করতে পারে এবং একইসাথে ধ্বংস করতে পারে।
বিজ্ঞানী এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যদি দেহকে সঠিক নির্দেশনা সম্ভব হয় তাহলে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ ব্যতীত দেহ নিজেই ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারবে।
পরীক্ষায় দুইজন লিউকোমিয়া রোগী তাদের দেহ থেকে ক্যান্সার কোষ সমূলে উৎপাটনে প্রচুর চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন কিন্তু তেমন কোন উন্নতি হয়নি। পরবর্তীতে তাদের দুইজনকে খুব কঠোরভাবে কিছু কাজ করতে দেওয়া হয়, সফল হন তারা। বিগত দুই বছর যাবত তারা ক্যান্সারমুক্ত জীবন-যাপন করছেন, যদিও তাদের দেহে ক্যান্সার কোষ রয়েছে এখনও।
সুখবর হচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার এই পদ্ধতিতে আরোগ্য সম্ভব। ক্যান্সারমুক্ত পৃথিবী গড়া দেখতে এই পরীক্ষার সফলতা কামনা করতে পারেন ক্যান্সার আক্রান্ত সকল মানুষ।
তথ্যসূত্রঃ দিটেকজার্নাল