দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বহুল আলোচিত মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় হয়নি। বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণার কথা থাকলেও হয়নি। নতুন বিচারক পুনরায় শুনানির দিন ধার্য করেছেন ২৭ ফেব্রুয়ারি।
জানা যায়, রায়ের তারিখ থাকায় বেলা সোয়া ১টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ আদালতে উপস্থিত হন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও এরশাদের ভাই জি এম কাদের। এর আগে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হন।।
এই মঞ্জুর হত্যা মামলার বিচারক হোসনে আরা আক্তারকে বদল করে নতুন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়। এই মামলায় নতুন বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ওই ঘটনার পর চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর পুলিশের হাতে আটক হন। পুলিশ হেফাজত থেকে ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি নিহত মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এরশাদসহ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর গত ২২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।