দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজ পাগল এজন্যই বলতে হবে কারণ তিনি একদিন দু’দিন নয় দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এসময় তিনি কাজও করেছেন অনেক। যার খ্যাতি রয়েছে এখনও দেশজোড়া। এরশাদ হঠাৎ গতকাল গিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ৬৩ দিন পর গতকাল পররাষ্ট্র দপ্তরে গিয়েছিলেন। অফিস সময় শুরুর পর হঠাৎ করেই সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে প্রবেশ করেন এরশাদ। গাড়ি থেকে নেমে সোজা মন্ত্রীর কক্ষে চলে যান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই সেখানে প্রস্তুত ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই রাজনীতিক কাম দূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ. এম. এরশাদ মন্ত্রণালয়ের কাজ-কর্মের খোঁজ-খবর নেন। এরশাদ এ সময় জানান, তিনি মধ্যপ্রাচ্য মিশন শুরু করতে চান। মন্ত্রীর কাছে জানতে চান তার কাজ কি, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে তার অনেক বন্ধু-বান্ধব পরিচিতজন রয়েছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য অনেক কাজ করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি কোথায় কি কাজ করা যায় সেই বিষয়ে পরামর্শও চান।
এরশাদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্য আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমাদের লাখ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছেন। আমি জানি, তারা অনেক কষ্টে উপার্জন করেন। দেশের জন্য রেমিটেন্স পাঠান। সেখানে তাদের অনেক অসুবিধা রয়েছে। রয়েছে ভিসা নিয়ে জটিলতা। সব সমস্যার সমাধান একসঙ্গে হয়তো হবে না, কিন্তু চেষ্টা করলে কিছুটা নিরসন করা যাবে। এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর ভরসা করেছেন। সেজন্য দায়িত্বও দিয়েছেন। আমি কাজ করতে চাই। আমার অনেক কাজ করার আছে। তিনি কোথায় কি করতে পারেন- সেই পরামর্শ চেয়ে এরশাদ বলেন, আজই শেষ নয়, আমি প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকার যেখানে কাজে লাগাবে সেখানে ‘সর্বোচ্চ’ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।