দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানসিক চাপ কার না আছে। কারো হয়তো কম, আবার কারো একটু বেশি এইযা। এই মানসিক চাপ কম রাখতে হলে নিজেকে বেশ ফুরফুরে মেজাজের বানাতে হবে আর সেক্ষেত্রে বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো মেজাজ ফুরফুরে করে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে।
সমাজে এক এক জনের এক এক সমস্যা আর এসব সমস্যার কারণেই রয়েছে নানা চাপ। আর এসব চাপ সামাল দিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। তবে আপনি যদি আপনার মেজাজটি ফুরফুরে রাখতে পারেন তাহলে কিন্তু এমন সমস্যা থেকে অনেক দূরে থাকতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে কিছু খাবার খেতে হবে। তাহলে আসুন কি কি খাবার আপনাকে খেতে হবে দেখে নেওয়া যাক।
সবুজ সবজি
সবুজ সবজি সব দিক থেকেই স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালো খাদ্য। সবুজ সবজি যেমন ব্রকলি, শসা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই মিলারেলগুলো আমাদের মস্তিস্কে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। প্রতিদিন ১ কাপ সবজি ব্যস, দেখবেন মানসিক চাপের সমস্যা দূর হয়ে যাবে অনায়াসে।
মিষ্টি আলু
এখন মিষ্টি আলুর সিজন। বাজারে গেলেই পাবেন এই মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুর সঙ্গেও রয়েছে আমাদের অনুভূতির এক বিশেষ সম্পর্ক। মিষ্টি আলু খেলে আমাদের মানসিক চাপ দূর হওয়া শুরু হয় দ্রুত। তাই মানসিক চাপে পড়লে মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খেতে বসে যান। তবে অবশ্যই পরিমাণ মতো খাবেন।
চকলেট
শুধু যে বাচ্চারা চকলেট পছন্দ করে বা খেয়ে থাকে এটি কিন্তু ঠিক না। যে কোন বয়সী মানুষই এই চকলেট খেতে পছন্দ করেন। এই চকলেট মানুষের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চকলেট খেলে ‘এন্ডোরফিন’ নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটে আমাদের মস্তিস্কে, যা আমাদের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। তবে সাধারণ মিল্ক চকলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো।
চিনি বা চিনি জাতীয় জিনিস
চিনি আপনাকে উপকার করতে পারে। মানসিক চাপ দূর করতে চাইলে সামান্য চিনি খেতে পারেন। এতে আমাদের মস্তিষ্ক রিলাক্স হওয়া শুরু করে এবং মানসিক চাপ দূর হয়। চিনি বা চিনি জাতীয় জিনিস আপনার মেজাজকে ফুরফুরে করে তুলতে পারে। আবার চিনির পরিবর্তে মধুও খেতে পারেন ১ চামচ। তবে মনে রাখবেন ডায়বেটিসের রোগীদের এই পদ্ধতি পালন করা উচিৎ নয়।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামের ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই। তাই আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে বেশ কার্যকর। যখন আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত থাকে তখন আমরা মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতায় কম ভুগে থাকি। তাই প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনার মন ফুরফুরে মেজাজে চলে আসবে।