দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি বয়সে যে সকল বাবা সন্তান জন্মদেন তাদের ক্ষেত্রে সন্তান দেখতে হয় কুৎসিত! আবার একই সাথে এসব সন্তানের অটিজম, সিজোফ্রেনিয়াসহ অনান্য জিনঘটিত অসুখের সম্ভাবনাও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে বেশি।
উন্নয়নশীল দেশ সমূহ, এমন কি উন্নত দেশ সমূহে দেখা যায় পুরুষরা নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে যেয়ে বিয়ে বা সন্তান নিচ্ছেন বেশি বয়সে। এবার এসব বাবাদের জন্য ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দিয়েছেন উদ্বিগ্ন হওয়ার মত তথ্য।
ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন যেসব বাবা নিজেদের বেশি বয়সে সন্তান জন্মদেন তাদের সন্তানের নানান স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। এছাড়া বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে সন্তানের চেহারা দেখতে হয় কুৎসিত। গবেষকরা বেশি বয়স বলতে বুঝিয়েছেন ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সকে।
গবেষণায় ১২ বিশ্লেষককে, মোট ৪,০১৮ পুরুষ ও ৪,৪১৬ মহিলার ছবি দেখিয়ে তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য্যকে বিভিন্ন মানে নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। এতে দেখা গেছে যেসব পুরুষ এবং মহিলারা দেখতে সুন্দর এবং সাস্থের দিক দিয়ে রোগ বালাই কম তাদের বাবা ৪০ বছরের কম বয়সেই তাদের জন্ম দিয়েছিলেন।
গবেষকরা বলছেন পুরুষের জেনেটিক মিউটেশনের একটি মাত্রা থাকে যা বয়সের সাথে সাথে কম বা বেশি হয়ে থাকে। এই জেনেটিক মিউটেশন ৪০ বছরের আগেই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকে ফলে বাবাদের এই সময়ে জন্ম নেয়া সন্তানদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তারা অনেক বেশি সুন্দর এবং সুস্থ হন। অপর দিকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দিলে সেক্ষেত্রে সন্তান কুৎসিত হওয়ার সাথে সাথে সন্তানের শরীরে নানান রোগ বালাইও দেখা দিতে পারে।
ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নৃতত্ত্ববিদ মার্টিন ফিডার জানিয়েছেন, “এটা অনেক আগে থেকেই বিজ্ঞানীদের জানা যে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরুষের জেনেটিক মিউটেশনের পরিবর্তন হতে থাকে। তবে আমাদের নতুন গবেষণা দেখাচ্ছে কিভাবে এই জেনেটিক মিউটেশনের পরিবর্তনের ফলে সন্তানের বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের ওপর প্রবলভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
সুতরাং, এখন থেকে বাবা’দের বেশি বয়সে সন্তান নেয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবাটাই বাঞ্ছনীয়। শুধু নিজেদের ক্যারিয়ারকেই নয় সন্তানের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য এবং রূপ লাবণ্য নিয়েও ভাবা উচিৎ।
সূত্রঃ দিডেইলিমেইল