দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুন্সিগঞ্জের লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৭ মৃতদেহ উদ্ধার করা হযেছে। এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা অভিযোগ তুলেছেন লাশ গুম করার।
জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার লঞ্চডুবিতে বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা লাশ গুমের অভিযোগ করছেন। তাদের দাবি, এমভি মিরাজ-৪ লঞ্চটিতে ৩শ’রও বেশি যাত্রী ছিল। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাত্র এক থেকে দেড়শ’ যাত্রী ছিল লঞ্চটিতে।
এদিকে আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে বি আইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর পরক্ষণেই উদ্ধার তৎপরতা আবারও চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
মেঘনার তীরে লাশের আশায় অপেক্ষমাণ অর্ধশতাধিক নিখোঁজ স্বজনদের দাবি, তাদের স্বজনদের লাশ গুম করেছে প্রশাসন। কারণ, এখানে লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যে জাহাজ আনা হয়েছে সেটি অনেক শক্তিশালী। তারপরও ইচ্ছাকৃতভাবে এই উদ্ধার অভিযানে অযথা তিনদিন সময় লাগানো হয়েছে।
বহু নিখোঁজদের আত্মীয় স্বজনরা নদী তীরে অপেক্ষা করছেন লাশের জন্য। সেই অপেক্ষার কোন দিন শেষ হবে কি না তা কেওই বলতে পারে না। নদী তীরে এখনও বহু মানুষ বিলাপ করছে। স্বজনহারাদের আর্তনাদ আকাশ-বাতাসের ধ্বনিত হচ্ছে। অথচ কেওই জানে না এসব নিখোঁজরা আর কোন দিন ফিরবেন কি না।