দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠনের পর থেকে সেদেশে অবস্থানরত বাঙালিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আসামের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আল্টিমেটাম জারি করেছে।
যদিও ভারতের খ্যাতিসম্পন্ন কোনো সংবাদ মাধ্যম এ বিষয়ে এখনও কিছু লিখেনি। তবে দেশীয় কিছু অনলাইন সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে যে, ভারতের আসাম রাজ্যের অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীরা উৎকণ্ঠা আর শঙ্কার মধ্যে আছেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী আসামের বিভিন্ন আসন হতে নির্বাচিত হওয়া পার্লামেন্ট সদস্যরাও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নাকি আল্টিমেটাম জারি করেছেন। ওই আল্টিমেটামে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছায় আসাম ছাড়তে হবে তাদের। এজন্য ১৫ দিনের সময়ও নাকি বেঁধে দেয়া হয়েছে। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪ ডটকম।
ওই সংবাদ মাধ্যম আরও জানায়, বিজেপির এক পার্লামেন্ট সদস্য কামাখ্যা প্রসাদ তাশা অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের আসাম থেকে বিতাড়ণে প্রচারাভিযান চালানোর ঘোষণাও নাকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিজেপির শাখা সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা এই প্রচারাভিযান শুরু করবে।
প্রচারণার প্রথম ধাপে তারা ১৫ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় আসাম ত্যাগের অনুরোধ জানাবে অবৈধ অভিবাসীদের কাছে। এইসব অবৈধ অভিবাসীদের যাতে কোনও কাজ দেয়া না হয়, সেজন্য বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অনুরোধ করার কাজও শুরু করবে তারা- এমন ঘোষণাও দিয়েছে।
এদিকে নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথের পর কেন্দ্রীয় পরিষদও এই বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। টাইমস্ অব ইন্ডিয়ার খবরে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে। টাইমস্ অব ইন্ডিয়া বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে শীঘ্রই আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আনছেন এমনটি মনে করা হচ্ছে। অবৈধ অধিবাসীদের কিভাবে শনাক্ত করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অবৈধদের সনাক্ত এবং বিদেশীদের আইন, ১৯৪৬ এর বিধান অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এতে বলা হয়, আদালতও সমস্যার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০০৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট “ভারতের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা হুমকি” অন্তঃপ্রবাহ প্রকাশ করে। বাংলাদেশী এক মহিলার দায়ের একটি পিটিশন খারিজ করে আদালত এই মন্তব্য করেছিল।