দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা মানবজাতির বেঁচে থাকার জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় প্রধান উপাদান। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বের বিশুদ্ধ পানির উৎসগুলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় একটি প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে, মানবজাতি কি করবে সামনের বছর কিংবা সামনের দশক অথবা সামনের শতাব্দীতে?
যখন আমরা এই সময়ের মুখোমুখি হব তখন প্রথম যে প্রশ্নটি আমাদের সামনে চূড়ান্ত হয়ে দাঁড়াবে তা হলো এর বিশুদ্ধতা। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক সেই প্রশ্নটিকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, ঠিক এই বিষয়টিকে ঘিরে প্রতারণা করার অনেক রাস্তা রয়েছে আমাদের চারপাশে। প্রতারণার ফলাফল বেদনাদায়ক হবে। এই রকম একটি বিষয় হলো গ্লোবাল ওয়াটার সংরক্ষিত রয়েছে। মেরুর বরফ গলছে ফলে একসময় না একসময় আমরা এই পানির তলদেশেই হারিয়ে যাব। কিন্তু কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বলছেন, আমাদের এমন কিছু কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে বের করা দরকার আমাদের পানির খরচ কমাতে সাহায্য করবে এবং আমাদের আরো কার্যকর সেচ ব্যবস্থা আনা দরকার যেখানে স্বাদুপানির উৎসগুলো এবং সংরক্ষিত পানির অংশগুলো কম খরচ হবে। সেচের পানির এই কমতির কারণে বিশ্বের অনেক দেশের কৃষকরাই বিস্তর পরিশ্রম করেন তাদের ফসলের ভালো ফলনের জন্য, তারা অপেক্ষায় থাকে বৃষ্টির। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে তাদের ফসল থেকে উপযুক্ত ফলাফল পাওয়া যায় না।
ওই অধ্যাপক আরো বলেন, বৃষ্টির পানি হলো এমন একটি উৎস যাকে আমরা খাবার বিশুদ্ধ পানি হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারি। কেননা বৃষ্টির পানি হলো নবায়নযোগ্য। আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত হয়ে যায়। সে যাই হোক, ক্রমবর্ধমান বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে মানুষকে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে বেশি। আজ হোক কিংবা কাল হোক মানুষ দেখতে পাবে বিশুদ্ধ পানির অভাবের ভয়াবহতা।
তথ্যসূত্রঃ টেকজার্নাল