দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য সাকিবের আপিলের বিষয়ে ঈদের আগেই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। বোর্ড আগেই সবুজ সংকেত দিয়েছিল বলে আবেদন করে সাকিব।
বোর্ডের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৭ জুলাই সাকিব আল হাসানকে ৬ মাসের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিসিবি। সেইসঙ্গে দেড় বছরের জন্য বিদেশী লিগগুলোতে খেলতে যেতে অনাপত্তিপত্র না দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ মাধ্যম সূত্র বলছে, শাস্তি দেয়ার ১০ দিনের মাথায় সাকিবের এই শাস্তির বিপক্ষে আপিল করার জন্য বৃহস্পতিবার সবুজ সংকেত দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর এই সবুজ সংকেত পাওয়ার পর শাস্তি মওকুফের জন্য বোর্ডের কাছে আপিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পাশাপাশি সকলের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন।
সাকিবের করা আপিলের বিষয়টি বিবেচনায় এনে শাস্তি কমাতে পারে বোর্ড। তবে কি হবে এখনও নিশ্চিত করে করে বলা যাচ্ছে না। তবে সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঈদের আগেই হতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সাকিব সবেমাত্র তার আবেদন জমা দিয়েছেন। তার আবেদনপত্র বোর্ডের নিকট জমা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমি এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে বোর্ড। এটা ঈদের আগে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ তবে ঈদের পরেও হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শাস্তি কমানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শাস্তি কমানো হবে কি হবে না সেটিও বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে এখন বলার মতো কিছু নেই। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তার আবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি মাত্র।’
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একটু নমনীয় হতে পারে। তাকে কিছুটা সুযোগ দেওয়া হতে পারে। আর সে জন্যই সবুজ সংকেত পেয়েই সাবিক আপিল করেছেন। বাকিটা সময়ই বলে দেবে যে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে সাকিবের ভাগ্যে। তবে সাকিবের বিপক্ষে থাকা ব্যক্তিরাও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেটের কথা বিবেচনায় এনে বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেই মনে করছে।