দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এটিএম স্লিপ কিংবা শপিং মলের বিল থেকে হতে পারে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগ-বালাই। সম্প্রতি গবেষকরা নানা গবেষণা করে এমন তথ্য দিয়েছেন।
কোলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এই খবর দিয়ে বলেছে, এটিএম স্লিপ কিংবা শপিং মলের বিল এসব বিলের কাগজ আপনার শরীরে ডেকে আনতে পারে ক্যান্সারের মতো কঠিন রেগা-ব্যধি। এতে বিষাক্ত যৌগ বিসফেনল-এ আধুনিক জীবন যাত্রার ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে এই রাসায়নিক। এটিএম স্লিপ থেকে শুরু করে ফ্যাক্সের কাগজ, প্যাকেটজাত খাবার থেকে শুরু করে মাইক্রোওভেনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বাসন সর্বত্রই এই যৌগের বিষাক্ত উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এর কারণে ক্যান্সারসহ বন্ধ্যাত্ব, ওবেসিটি, হরমোনজনিত রোগসহ একগুচ্ছ অসুখের নেপথ্যে যে দৈনন্দিন জীবনে বিসফেনল এর বল্গাহীন ব্যবহারই দায়ি তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি সময়ে। এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিশ্বের বহু দেশই লাগাম দিতে শুরু করেছে বিসফেনল ব্যবহারে।
বিসফেনল এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়েই আলোচনা চলছে। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় এর কারফিনোজেনিক প্রভাব প্রকাশ্যে এসেছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো বিসফেনল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করেছে। অথচ আমাদের দেশে এই বিষয়গুলো এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে।
গবেষকরা বলছেন, ত্বকের আস্তরণ ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করতে সক্ষম এই রাসায়নিকটি। আর শরীরে এর মাত্রা বেশি হলে- ক্যান্সার হওয়ায় অসম্ভব ব্যাপার নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
গবেষকরা বলেছেন, ‘বেস্ট ও প্রস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ‘অণুঘটক’ হিসেবে কাজ করে বিপিএ। যেসব মানুষের শরীরের বিপিএর এক্সপোজার রয়েছে, তাদের ব্রেণ টিউমার(ম্যানিনজিওমা) হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।’ গবষকরা বলেছেন, ‘একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পর বিপিএ ভেঙ্গে তা খাবারের সঙ্গে মিশে গিয়ে থাকে। আর এভাবেই খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরের প্রবেশ করে। একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি বিসফেনল শরীরের প্রবেশ করলে ক্যান্সার থেকে শুরু করে ওবেসিটি বন্ধাত্ব সবই ঘটাতে পারে। এমনকি গর্ভবতী মা যদি বিপিএর সংস্পর্শে আসে, তাহলে সুদূরপ্রসারী ক্ষতিও হতে পারে গর্ভের শিশুর। আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ বিষয়গুলো আমলে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে এ বিষয়গুলো এখনও জনগণের মধ্যে ততটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেনি। সময় থাকতে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।