দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চারিদিকে ইসরায়েলের ভয়ংকর মিসাইল আর ট্যাংক গোলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি, নিহত হচ্ছে হাজার শিশু, কিন্তু এই ভয়ংকর অবস্থায়ও গাজাবাসীর কাছে এলো এক সুখবর। একই মায়ের গর্ভে জন্ম হয়েছে ৪ শিশুর!
এক হিসেবে দেখা গেছে, ৪ সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে ইহুদীদের আক্রমণে গড়ে দৈনিক অসংখ্য শিশু নিহত হচ্ছে, যা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। এই বর্বরতার মাঝেই ফিলিস্তিনি এক নারী আল-সিফা হাসপাতালে জন্ম দিয়েছেন ৪ শিশুর। Dr Bassel Abuwarda ওই নারীর অপারেশন করেন।
Dr Bassel Abuwarda বলেন, আল্লাহ্কে অসংখ্য ধন্যবাদ, এমন এক ভয়াবহ অবস্থায় তিনি এই চার শিশুকে সুস্থ অবস্থায় পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছে, জন্মের সময় চার জনের ওজন ছিলো মোট প্রায় ৮ কেজি।”
এদিকে ইসরায়েলের বোমা আল সিফা হাসপাতালেও আঘাত হেনেছিলো, এতে হাসপাতালের কিছু অংশ ধ্বসে পড়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে, জেনারেটর দিয়ে কোন মতে রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
শিশুদের জন্মদাত্রী মাও ৩ দিন আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হন নিজেদের বাড়িতে ইসরায়েলের ভয়ংকর মিসাইলের আঘাত হানলে। ইসরায়েল যদিও যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়েছিল তবে তারা ২ ঘন্টার মাঝে সেই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনের গাজায় আবার আঘাত হানে, এতে ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গাঁজায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এই চার শিশুর জন্ম ইসরায়েলসহ তাদের মিত্রদের ঘোষণা দিচ্ছে, তোমরা আমাদের ১ জন হত্যা করলে আমরা আরো ৪ জন করেই জন্ম নিবো, তোমরা আমাদের ছেড়ে দাও, আমাদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দাও। আমরাও পৃথিবীর আর ১০ জন শিশুর মত স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই; তবে ফিলিস্তিনি শিশুদের ভাগ্যে আসলেই কি আছে তা কেওই বলতে পারছেনা, কারণ তাদের মুসলিম অন্য ভাইরা সবাই নীরব। মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনি শিশু এবং মানুষের সাহায্যর আহ্বানে কর্ণপাত করছেনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের অভিভাবক সেজে থাকা সৌদি আরবসহ অনেক দেশকে ইহুদীদের নীরব সমর্থন দিয়ে যেতে। কি হবে ফিলিস্তিনের?
সূত্র- ইন্ডিপেনডেন্ট