দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাবিশ্বব্যাপী টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জনপ্রিয় ওষুধগুলো দীর্ঘ জীবনেও সহায়তা করে। মেটফোরমিন গোত্রের এই ওষুধগুলো কার্ডিভাস্কুলার রোগ এবং ক্যান্সার রোগের প্রতিহত করতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা এই সকল তথ্য তুলে ধরেন।
গবেষকরা এই পরীক্ষাটি করার জন্য ১,৮০,০০০ মানুষের উপর নিয়মিত পরীক্ষা চালান। তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থার মনিটরিং করেন। গবেষকরা দেখতে পান যে, মেটাফোরমিন গ্রহণ করা এই সকল মানুষের খুব ছোট কিন্তু পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হচ্ছে। এছাড়া মেটাফোরমিন গোত্রের এই ওষুধগুলো পুর্বের ডায়াবেটিস রোগের ওষুধের চেয়ে বেশি কার্যকর। সে যাই হোক গবেষকরা বলছেন, তারা প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে এই ওষুধের উপর গবেষণা চালাচ্ছেন। কিছু কিছু ছোট আকারের জটিলতা ছাড়া এটি জীবনকে সত্যি দীর্ঘায়িত করার ক্ষমতা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন এই পরীক্ষাটি করেন। এই গবেষণার প্রধান প্রফেসর ক্রিগ কুরি বলেন, মেটাফোরমিন স্বাস্থ্যগতভাবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত নয় এমন ব্যক্তিদের উপরও পরীক্ষা করা হয়েছে। সামান্য কিছু সাইড এফেক্ট ছাড়া এটিকে একটি কার্যকর ওষুধ হিসেবে বলা যায়। কিন্তু এ ওষুধের মূল্যটি বর্তমান ডায়াবেটিস ওষুধের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। তিনি এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মেটাফোরমিনের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এটি একই সাথে ডায়াবেটিস রোগী কিংবা ডায়াবেটিস নেই এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকর। কিন্তু আমাদের এই নতুন গবেষণা নতুন দিকের উন্মোচন করেছে। এটি দেখাচ্ছে যে, এটি শুধুমাত্র ডায়াবেটিসই নিয়ন্ত্রণ করে না একই সাথে ক্যান্সার এবং কার্ডিভাস্কুলার রোগও প্রতিহত করে।
উল্লেখ্য যে, পুর্বে ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের ফলে এর ব্যবহারকারীরা তাদের আয়ু হারাতেন। ব্যবহারকারীদের এই সমস্যা থেকে মুক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকরা তাদের ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে আমাদের দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য সালফোনিরেয়া ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষাটি করার জন্য গবেষকরা ৭৮২৪১ জন রোগীকে মেটাফোরমিন দিয়ে থাকেন আর ১২২২২ জন রোগীকে দেন সালফোনিরেয়া। এই ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের বয়স, লিঙ্গ, ধূমপানের অবস্থা এবং ক্লিনিক্যাল অবস্থা বিবেচনা করা হয়। গবেষণার ফলাফলটি ডায়াবেটিস জার্নালে প্রকাশ করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে, মেটাফোরমিন গ্রহণ করা রোগীদের আয়ুস্কাল মাত্র ১৫ শতাংশ হারে কমে অপরদিকে সালফোনিরেয়া গ্রহণ করা রোগীদের আয়ুস্কাল কমে ৩৮ শতাংশ হারে।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল