দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরিতে চিনির কোন বিকল্প নেই। হরেক রকম সুস্বাদু খাদ্য চিনি ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কিসে কিসে চিনি লাগে একটু চিন্তা করুন। মজার মজার সব খাদ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে, তাই নয় কি? জেনে অত্যন্ত অবাক হবেন, এই চিনি দিয়েই তৈরি হচ্ছে ব্যাটারি যা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির তুলনায় শক্তিশালী।
ন্যাচার কমিউনিকেশনের সদ্য প্রকাশিত এক জার্নালে এমন এক বায়োব্যাটারি তৈরির কথা বলা হয় যাতে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হবে চিনি। এই ব্যাটারিতে চিনির রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। এটি মূলত এক ধরণের এনজাইমেটিক ফুয়েল সেল (EFC)। স্টার্চ এবং গ্লাইকোজেনের মতো উপাদান থেকে শক্তি উৎপাদন করে এমন ইলেক্ট্রোবায়োকেমিক্যাল ডিভাইস। এতে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় চিনি পুড়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, পানি এবং শক্তি উৎপাদিত হয়। চিনির এই বায়োব্যাটারি মোটামুটি ৫৯৬ অ্যাম্পিয়ার-ঘণ্টা/কিলোগ্রাম শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে পারে। অর্থাৎ প্রতি কিলোগ্রাম চিনি থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৫৯৬ অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
বর্তমানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ৪২ অ্যাম্পিয়ার-ঘন্টা/কিলোগ্রাম শক্তির হয়ে থাকে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির তুলনায় চিনির বায়োব্যাটারি নিঃসন্দেহে অনেক বেশি সময় ধরে কাজ করতে সক্ষম হবে। এছাড়া এই ব্যাটারির উৎপাদন খরচ কম পড়বে। জ্বালানী প্রবেশ করিয়ে এটি পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। অদাহ্য হওয়ায় এটি প্রকৃতিবান্ধব। এই ব্যাটারি নিয়ে আরো গবেষণা চলছে। -এর খরচ আরো কমে আসবে এবং এর জীবনকাল আরো লম্বা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিদ্যুতের এই সঙ্কটের সময়ে এমন একটি তড়িৎ উৎস আশাব্যঞ্জক। বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন শুধু বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের অপেক্ষা।
তথ্যসূত্রঃ livescience