দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার কোলকাতায় পুলিশের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে কোলকাতা পুলিশের মহাপরিচালক জিএমপি রেড্ডি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যে কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টার বিষয়ে সব থানাকে সতর্ক করা হচ্ছে।”
বিডি নিউজ জানিয়েছে, বর্ধমান, হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনকেও এই সতর্কতার আওতায় আনা হয়েছে বলে ভারতের পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহা ব্যবস্থাপক আর কে গুপ্ত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া দুর্গা পূজাকে ঘিরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী পূর্ব থেকেই সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল।
ভারতীয় শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং ডিজিএফআইকে অবহিত করেছেন বলে হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল এবং ভুটানের সীমান্ত রয়েছে। ভারতের এই রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে আসাম, বিহার, সিকিম, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা রাজ্য।
সোমবার টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, বর্ধমানের যে বাড়িটিতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কার্যালয়ও ছিল।
ওই ঘটনায় শামীম ওরফে শাকিল আহমেদ এবং স্বপন ওরফে সুবহান মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তি নিহত হন যারা বাংলাদেশের জেএমবির একটি শাখার সদস্য বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন।
অবশ্য আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাকিলের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাজপুরে। অপরদিকে সুবহানের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে এবং আব্দুলের বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজারে।
এদিকে মমতা বন্দোপ্যাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টিকারী জামায়াতের নেতাদের আশ্রয় প্রশয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আগে থেকেই। এমনকি তৃণমূল হতে নির্বাচিত এমপিদের বিরুদ্ধেও জামায়াত এবং উগ্র ইসলামপন্থি নেতাদের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বার বার।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ জন নিহত হন, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন। বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় এই পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ।