দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ শেষ হচ্ছে ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ মৌসুম। ৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলে এই নিষিদ্ধ মৌসুম। কিন্তু তারপরও নির্বিঘ্নেই চলেছে ইলিশ শিকার।
৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১১ দিনের জন্য নিষিদ্ধ মৌসুম ঘোষণা করা হয়। এ সময় ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে। এই ডিম হতে কোটি কোটি ইলিশের জন্ম হবে, যা আমরাই ভোগ করতে পারবো। কিন্তু তারপরও এই আইন অমান্য করা হয়। এবার নিষিদ্ধ মৌসুম চলে কোরবানী ঈদের ভেতর। যে কারণে সবার ধারণা ছিল এই মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ নিধন হবে না। কিন্তু তাও হয়েছে। নির্বিঘ্নেই চলেছে ইলিশ শিকার।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভরা প্রজনন মৌসুমে উপকূলে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসবে মেতে ওঠে জেলেরা। স্থানীয় মৎস্য অফিস, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং রাজনৈতিক নেতাদের মদদেই নাকি চলে এসব- এমন অভিযোগ রয়েছে।
প্রজনন মৌসুম হওয়ার কারণে ৫ অক্টোবর হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বাগেরহাট এবং শরীয়তপুর জেলার সব নদনদী এবং মোহনায় ১১ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। এই সময় ইলিশ ধরা এবং বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ ও মজুদও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আদেশ অমান্যকারীর সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধ বারবার করলে প্রত্যেকবার অপরাধের কারণে দ্বিগুণ হারে শাস্তি ভোগ করতে হবে অভিযুক্তকে।