দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আদালতের রায়ের মাধ্যমে পদ্মাসেতু মামলার আসামিরা খালাস পেলেন। পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলায় দুদকের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহিত হওয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা খালাস পেলেন।
আজ রবিবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো: জহুরুল হক দুদকের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করায় এই দায়মুক্তি পেলেন আসামিরা। দায়মুক্তি পাওয়া আসামিরা হলো- সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ৩ কর্মকর্তা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল এবং আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ। সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব কাজী ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের এবং এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: মোস্তফা, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী।
গত ২২ সেপ্টেম্বর অব্যাহতির শুনানির জন্য আজ ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। ওইদিনই প্রতিবেদনটি ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে এই প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কমকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।
প্রতিবেদনে এজাহারনামীয় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়নি মর্মে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়। এছাড়া বিগত মহাজোট সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের কারণে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এটির তদন্ত শুরু করে। আজকের এই সর্বশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মুক্ত হয়ে গেলেন।