দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কেও শুনলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে ১৭৯ বছর বয়সীেএক ব্যক্তি এখনও জীবিত রয়েছেন।
ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণকারী ওই ১৭৯ বছর বযসী ব্যক্তির নাম মহাশতা মুরাসি। তার নাতি-নাতনিরাও অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। অথচ মৃত্যু স্পর্শ করেনি মহাশতা মুরাসিকে। আক্ষেপ করে ১৭৯ বছরের এই বৃদ্ধ বললেন, ‘যম বোধ হয় আমাকে নিতে ভুলে গেছে।’ শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বেই ১৭৯ বছরের কেও বেঁচে থাকার খবর জানা নেই। মহাশতা মুরাসির নাম রয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও।
মহাশতা মুরাসির জন্ম হয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে ১৮৩৫ সালের ৬ জুন মাসে- এই দাবি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি রিপোর্ট ডট কমের। তবে এ খবরের সত্যতা কতটা, তা এখনও জানা যায়নি। ওই সংবাদ মাধ্যমটির দাবি, মুরাসি নাকি এখন দুঃখ করে বলেন, ‘আমার চোখের সামনে আমার বহু নাতি-নাতনিরা মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে আজ পর্যন্ত মৃত্যু গ্রাস করেনি। আমি তাই মরার আশা ছেড়েই দিয়েছি।’
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আগামী জীবনে তার কোনো চাওয়া পাওয়া ও আশা নেই। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে চান তিনি। এর পরও সবকিছু মিলে ভালই আছেন বলে জানান তিনি। কারণ গিনেস রেকর্ড মুরাসির নাম রয়েছে তবে বিশ্ব নয়, ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি হিসেবে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে দেখা গেছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের নাম জিয়ানে লুইস কালমেন্ট। তার জন্ম ১৮৭৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। এই নারী ফ্রান্সের নাগরিক। তার বর্তমান বয়স ১২২ বছর ১৬৪ দিন।
যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবির পক্ষে এখনও কোনো জোরালো তথ্য মেলেনি। তবে ভারতের সরকারি সূত্র মতে, বেঙ্গালুরুর হতে ১৯০৩ সালে বারানসিতে এসে মুচির কাজ শুরু করেন মুরাসি। ১৯৫৭ সালে ১২২ বছর বয়সে এই কাজ হতে অবসরে যান তিনি। জন্ম সনদ এবং ভারতীয় কার্ড থাকলেও তার কোনো মেডিক্যাল সনদ নেই। সর্বশেষ তিনি নাকি ১৯৭১ সালে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এরপর আর কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তিনিও মারা গেছেন। তাই তার বয়সের রহস্য জট রহস্যই রয়ে গেছে। তথ্য সূত্র: www.umuseke.rw