দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুনিয়াতে কত কিই না ঘটে যাচ্ছে। কেও টাকার ওপর ভাসছে। আবার কেও ভাসছে তেলের ওপর। সৌদিদের তেল বেঁচা টাকা রয়েছে। তাই তাদের মধ্যে উদ্ভট সব কাণ্ড কারখানাও মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে।
দুবাইয়ের শেখদের কাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়। তেলে নিয়ে তাদের গর্ব। এমনই একটি গল্প প্রচলিত রয়েছে দুবাইওয়ালাদের। গল্পটা এরকম যে, ‘দুবাইয়ের শেখেরা এক লিটার তেলের বদলে এক লিটার পানি কেনেন’। গল্প হলেও এসব কাহিনী অনেকাংশে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অর্থ প্রতিপত্তি কোনো কিছুরই অভাব দেননি সৃষ্টিকর্তা। রহমত আর বরকতে তাদের সয়লাব করে দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা।
আর তাই বাংলাদেশের মানুষও এক সময় দুবাই যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে পড়তেন। বাংলাদেশেও এমন কিছু কথা প্রচলন ছিল যেমন- ‘দুবাই যামু টাকা দাও’। দুবাই যাওয়াটাকে অনেক বড় করে দেখতেন বাংলাদেশের মানুষগুলো। আমেরিকা, বৃটেন কিংবা জাপানের মতো অন্য কোনো রাষ্ট্রে যাওয়ার আগ্রহ এক সময় ছিলনা। যদিও সেই দিন এখন আর নেই। মানুষ বুঝতে শিখেছে। কোথায় গেলে টাকা বেশি রোজগার করা যাবে সেটি এখন সবার জানা।
দুবাইয়ের কাহিনী তখন বেশ চমকপ্রদ ছিল। কারণ ওই দেশের স্থানীয় অধিবাসীদের নেই প্রাতিষ্ঠানিক বা কারিগরি শিক্ষার জোর। কিন্তু তারপরও ওই দেশের প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং বিশাল বিশাল দালান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ওদের অবস্থান কোথায়। বলা যায়, পশ্চিমের বিলাসপ্রিয় মানুষের প্রথম পছন্দ এখন দুবাই। এখানে টাকা থাকলে সব মেলে। এমনকি বাঘের দুধও পাওয়া যায়।
পৃথিবীর আর সবার কাছে কল্পনাপ্রসূত বিষয় হলেও দুবাইওয়ালাদের কাছে সেগুলো বাস্তব বিষয়। অর্থাৎ টাকা থাকলে সব কিছুই করা যায়। আর তারা তা করে দেখাচ্ছেনও। দুবাইয়ের এক শেখের সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর সখ হলো তিনি সিংহের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াবেন। পাইক পেয়াদাকে এই ইচ্ছের কথা বলতে দেরি কিন্তু কার্যকর হতে মোটেও দেরি হবে না। এরকম বহু বিচিত্র সব শখ মিটিয়ে থাকেন দুবাইয়ের শেখরা। তারা যখন যা চান তাই পেয়ে যান। কারণ টাকা থাকলে দুনিয়া থাকে হাতের মুঠোয়। দুবাই শেখরা ঠিক তার প্রমাণ করেছেন।
দুনিয়া জোড়া দুবাইয়ের কাহিনী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। দুবাইয়ের এসব কল্পকাহিনী তাইতো ছড়িয়েও গেছে সমগ্র বিশ্বময়। এসব গল্প মানুষকে প্রলুব্ধ করে আবার আশ্চর্যও করে।