দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ৫ হাজার বছরের পুরনো মুসলিম শহর আবিষ্কার হয়েছে। এটি হয়েছে তুরস্কে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য খুড়তে গিয়ে পুরনো শহরট আবিষ্কার হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পুরনো এই আবিষ্কার ঠিক যেনো এক স্বপ্নের কাহিনীর মতো। এটি যেনো এক লর্ড অব দ্য রিং। নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছিলেন, পুরোনো ভবন একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন ভবন স্থাপন করার জন্যে। তাদের কারও কোনো ধারণাই ছিল না যে তাদের ঠিক পায়ের নিচে হাজার বছরের পুরনো এক সভ্যতার নগর পড়ে রয়েছে। প্রকৌশলী যারা কাজ তদারকি করছিলেন, স্থানীয় কাউন্সিল যারা অনুমোদন করেছিলেন, তাদেরও কোনো ধারণা ছিল না যে এখানে ঠিক তাদের পায়ের নিচেই বিশাল এক শহর রয়েছে। অনেকটা রূপকথার গল্পের মতোই। তবে পুরোটাই বাস্তব। এটি মিলেছে তুরস্কের কাপাডোসিয়াতে।
নির্মাণ কর্মীরা যখন মাটি খুঁড়ছিলেন, ঠিক তখন মাটির অংশ কাটতেই তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠলো এক পরিপাটি বিশাল আকারের সুড়ঙ্গের পথ! তাদের বিস্ময়ভরা চোখে একটাই প্রশ্ন এত সুন্দর পরিপাটি করে থরে থরে সাজানো কী করে সম্ভব হলো!
এরপর তারা সেই সুড়ঙ্গ পথে হেঁটে হেঁটে আরও অবাক হন। সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে রয়েছে সুন্দর করে সাজানো বিশাল এক শহর। যেনো তারা যে শহরের ওপরে হতে সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন, তার চেয়ে দ্বিগুণ আকারের আরও এক বড় শহর মাটির নিচে।
তুরস্কের সিটি অব নেভসেহিরের নেটওয়ার্ক টানেলের নিচে এই শহরকে প্রায় ৫ হাজার বছরের আগের পুরনো সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৬৩ সালে ডেরিনকোতে এক ব্যক্তি তার ঘরের মেঝের দেওয়াল সন্দেহবশত খুঁড়তে গিয়ে পুরনো ১৮ তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স আবিষ্কার করেন। কিন্তু আজকের এই মাটির নিচের শহর ডেরিনকোর কমপ্লেক্স তার দ্বিগুণের চেয়ে আকারে বড় বলে জানানো হয়েছে।
নেভসেহিরের মেয়র হাসান আনভার বলেছেন, সাবেক ডেরিনকোর লোকজন সাধারণত লোহার দরজা ব্যবহার করতেন। কিন্তু এই নতুন আবিষ্কৃত পাতাল শহরে পার্ল, ডায়মন্ড ও গোল্ড দিয়ে মোড়ানো সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে।
প্রচলিত ধারণা মতে, বায়জান্টাইন সময়ে মুসলিম ও বিভিন্ন ধর্মের লোকজন যুদ্ধবিগ্রহের সময় শত্রুর আক্রমণ হতে নিজেদের রক্ষার জন্য মাটির নিচের সুড়ঙ্গ দিয়ে এসব শহরে আত্মগোপন করতেন। আর্কিলোজিস্টরা আবিষ্কৃত এই শহরটিকে সে রকমই মনে করছেন। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা করলে প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে- এমনটিই বলেছেন বিশ্লেষকরা।