দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনশনের অর্থ আমরা সবাই বুঝি। তবে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরাই করে থাকেন। কিন্তু এবার অনশনে গেছেন এক কুমির! এটি কি আসলেও সত্যি?
রাজনীতিবিদ অথবা সুশীল সমাজের মানুষদের অনশনে যাওয়ার কথা আমরা শুনে থাকি। অর্থাৎ দাবি আদায়ের জন্য পানাহার বর্জন করে অনশন করা হয়। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রমি কথা শোনা গেলো। আর তা হলো এবার এক কুমির নাকি অনশনে গেছেন। আসলেও কি তাই? যে কুমির মানুষের রক্তের স্বাদ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন, সে নাকি অনশনে গেছেন। সত্যিই তাই অসম্ভব হলেও ঘটনাটি নাকি সত্যি।
এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিম রাজ্য টেক্সাসে। সেখানকার এক বড় পুকুরে বাস করে ওই কুমিরটি। ১১ ফুট লম্বা আর ২০০ কেজি ওজনের ওই কুমিরটির জন্য একটু বেশিই জায়গা লাগে। বড় পুকুর হতে সরিয়ে তাই ৪০ বছরের এই কুমিরটিকে নিয়ে আসা হয়েছে চিড়িয়াখানায়। সে কারণে এই লম্বা চওড়া কুমিরটি নাকি এখন অনশন করছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর চিড়িয়াখানায় কুমিরটিকে দেখতে ভিড় করছেন সবাই। দীর্ঘকায় এই কুমিরটি নতুন জায়গায় আনার পর থেকেই কিছুই খাওয়ানো যাচ্ছে না।
আর তাই চিড়িয়াখানার কর্মীরা বলছেন, নিজ জায়গা হতে সরিয়ে নেওয়ায় ওর রাগ হয়েছে, তাই কিছু মুখে তুলছেন না। ওই পুকুর হতে সরিয়ে নেওয়ার মূল কারণটা হলো কুমিরটি যেখানে থাকতো, সেখানে স্নান করতে যায় শিশুরা। ফলে বিপদের কথা মাথায় রেখেই এই পরিবর্তন। কিন্তু কুমিরটি অনশন করছেন হয়তো তার জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার জন্যই। কর্তৃপক্ষ কি কুমিরের দাবি মানবেন?