দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এতো বড় কুমির মনে হয় কেও কখনও দেখেনি। কিন্তু এবার দেখতে পাবেন। বিশাল এই কুমির কাহিনী রয়েছেন আজকের এই প্রতিবেদনে।
গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে নানা প্রতিযোগিতা। তবে প্রযুক্তির এই যুগে কে কত রেকর্ড করতে পারলো তা নিয়ে এখন চুলচেরা হিসাব-নিকাশও করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার একটি পরিবার কিছুদিন আগেও জানতেন না যে তারাও না চাইতেই একটি বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছেন। অবশ্য এই রেকর্ডের জন্য খুব বেশি একটা কসরত করতে হয়নি ওই পরিবারটিকে। স্রেফ একটি কুমিরের কারণে বিশ্বের রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছে এই পরিবারটি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, প্রায় ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের একটি কুমিরকে গত আগস্ট মাসে আলাবামার মিল ক্রিক এলাকা হতে ধরে ওই পরিবারটি। ধরার পর তারা বুঝতে পারেননি যে এই কুমিরটি এ যাবত প্রাপ্ত সকল কুমিরের চেয়ে বড় এবং কিছুটা ভিন্নতার দাবি রাখে। প্রায় ১১শ’ পাউন্ড ওজনের এই কুমিরটিকে এখন জনসাধারণের দেখার জন্য আলাবামা জাদুঘরে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুমিরটি দেখতে আসছেন।
প্রাণী বিজ্ঞানীদের তথ্যানুসারে, ধৃত কুমিরটির বয়স প্রায় ২৪ হতে ২৮ বছর হবে। কুমিরটির পায়ের হাড় পরীক্ষা করে এই বয়সসীমা বের করা হয়েছে। বর্তমানে কুমিরটি নিয়ে প্রাণীবিজ্ঞানীরা বেশ গবেষণা করছেন। অদূর ভবিষ্যতে কুমিরটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত অনেক তথ্যই জানা যাবে।
জানা যায়, ম্যান্ডি ও তার পরিবারকে অবশ্য কুমিরটি ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়। পরিবারের মোট ৫ সদস্য মিলে প্রায় টানা ৫ ঘণ্টা পরিশ্রমের পর কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হয়েছিল এই পরিবারটি। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুমিরটির ছবি দিলে ব্যাপক সাড়া পরে এবং প্রাণীবিজ্ঞানীরা ম্যান্ডি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। আর এভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুমিরটি নিয়ে সকলেই আগ্রহ শুরু করেন। এখন এটি জাদু ঘরে রাখার পর হাজার হাজার মানুষ এই বিশাল কুমিরটি দেখতে আসছেন।