দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশু-পাখিদের নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এবার গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই নতুন এক তথ্য। শিম্পাঞ্জিও মানুষের মতোই হাসতে পারে।
সম্প্রতি গবেষণায় এমনই নতুন এক তথ্য উঠে এসেছে, কোন রকম শব্দ ছাড়াই শিম্পাঞ্জিরাও মানুষের মতোই অবিকল হাসতে পারে। পোর্স্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাদের গবেষণায় দেখেছেন, শিম্পাঞ্জিদের যোগাযোগ পদ্ধতির সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ রীতির একটি শক্ত যোগসাদৃশ্য রয়েছে। তারা কোনো রকম আওয়াজ ছাড়াই নিঃশব্দে মানুষের মতোই হাসতে পারে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির তুলনামূলক এবং বিবর্তনীয় মনোবিদ্যা কেন্দ্রের অধ্যাপক মেরিনা ডেভিলা-রস বলেছেন, ‘মূলত বানর হতেই মানুষের মত প্রকাশের বিবর্তন হয়েছে- গবেষণাটি কিন্তু এমন ইঙ্গিতই আমাদের প্রদান করছে।’
অধ্যাপক মেরিনা ডেভিলা-রস আরও বলেন, ‘কোন রকম কথা বা উচ্চ শব্দ ছাড়াই মানুষের হাসার ক্ষমতা রয়েছে। কারণ তাদের ভেতর এক ধরণের নমনীয়তা কাজ করে থাকে। নমনীয়ভাবে মুখভঙ্গি করার এই সক্ষমতা আমাদেরকে স্পষ্ট এবং বহুমুখী যোগাযোগে সহায়তা করে থাকে। তবে শিম্পাঞ্জিরা এরকম মুখভঙ্গি করতে পারে কিনা এখন পর্যন্ত তা আমরা জানতে পারিনি।’
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, গবেষকরা জাম্বিয়ার শিম্ফুনসি ওয়াইল্ড লাইফ নামক একটি এতিমখানার ৪৬টি শিম্পাঞ্জির মুখভঙ্গির মাত্রা নির্ণয় করেন। এজন্য গবেষকরা ‘শিম্প ফ্যাকস’ নামের একটি ফেসিয়াল কোডিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। গবেষকরা দেখেছেন যে, শিম্পাঞ্জির অট্টহাসি ও মানুষের অট্টহাসির বিবর্তনীয় উৎপত্তি প্রায় একই। মানুষের হাসির সঙ্গে শিম্পাঞ্জির হাসির এই সাদৃশ্য প্রকৃতপক্ষে মানুষের পূর্বপুরুষ বনমানুষদের হতে যে উদ্ভূত ইঙ্গিত সেটিই বহন করছে বলে গবেষকরা মনে করছেন। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নয়। আরও গবেষণা করলে হয়তো এর সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে আসবে- এমনটিই ধারণা করছেন গবেষকরা।