দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স হলেই নানা সমস্যা, নানা ব্যাধি এসে বাসা বাঁধতে শুরু করে শরীরে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, বাত, হৃদরোগ এসব তো দরজার কাছে এসে কড়া নাড়তেই থাকে। তবে একটা সুখবর হলো, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার খেলে আপনি এসব রোগের ঝুঁকি থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত থাকতে পারেন। অন্তত সাম্প্রতিক একটা গবেষণা সে রকমই জানাচ্ছে। ‘জার্নালস অব জিরোন্টলজি সিরিজ এ : বায়োলজি সায়েন্সেস অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস’ নামের গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে নতুন এসব তথ্য।
গবেষকরা বলেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবারের মধ্যে এমন কিছু আছে, যা উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যাপারে কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপ, পরিপাকজনিত সমস্যা, কিডনিবিষয়ক জটিলতা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ প্রভৃতি রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি উপাদানের নাম হাইপারুরিসেমিয়া। আপনি প্রচুর পরিমাণ ফল, শাকসবজি, শিম বা মটর, জলপাইয়ের তেল, বাদাম বা শস্যসমৃদ্ধ ভূমধ্যসাগরীয় খাবার খেলে ওসব রোগ হওয়ার মূলে যে উপাদান কাজ করে থাকে, তার প্রকোপ অনেকটা কমে যেতে পারে। উপকারী এসব জিনিসের মধ্যে আরও আছে বিভিন্ন ধরনের মদ, ডেইরি ও পোলট্রিজাত খাবার, লাল মাংস, মিষ্টি বিস্কুট, ক্রিম ও পেস্ট্রি।
ভূমধ্যসাগরীয় খাবারের বৈশিষ্ট্য হলো এটা অম্লবিযুক্ত ও প্রদাহবিহীন। গুরুপাক নয়। সাধারণভাবে সিরাম ইউরিক এসিড হিসেবে পরিচিত হাইপারুরিসেমিয়া নামের উপাদানটি কমানোর ব্যাপারে এ ধরনের খাবার ভূমিকা রাখে। আর হাইপারুরিসেমিয়ার পরিমাণ কম হলে ওসব রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। হাইপারুরিসেমিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবারের মধ্যে এ রকম সম্পর্কের কথা এই প্রথম জানা গেছে।
পাঁচ বছর ধরে চলা এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ৭ হাজার ৪৪৭ জন বয়স্ক মানুষ। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ থেকে ৮০ এবং নারী ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এদের কারোরই হৃদরোগ ছিল না, তবে কেও হয়তো টাইপ-২ ডায়াবেটিস অথবা হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন।
গবেষকরা বলেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় খাবারে ওজনের পরিবর্তন কিংবা জৈবিক ক্রিয়াকর্মে বিরূপ কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। (সৌজন্যে: দৈনিক সমকাল)।