দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল ফোন সংযোগ নিবন্ধন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই সিম নিবন্ধন করবেন কীভাবে তা জেনে নিন।
মোবাইল ফোন সংযোগ নিবন্ধন প্রক্রিয়া কার্যক্রমকে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত। ‘অবৈধ কিংবা অনিবন্ধিত সিম দেশ ও জাতির জন্য বিপজ্জনক’ স্লোগান নিয়ে মোবাইল ফোন সিম নিবন্ধনের জন্য প্রচারণা শুরু হয়েছে।
সিম নিবন্ধন কিংবা রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সকলের মধ্যেই কৌতূহল রয়েছে। যারা নতুন সংযোগ নেবেন, তাদেরকে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন করতেই হবে। তবে এখন যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তাদের প্রত্যেককেই কী সিম নিবন্ধন করতে হবে? কবে হতে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, শেষ তারিখিই বা কবে? কোথায় এই নিবন্ধনের কাজ করতে হবে? এসব প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে।
এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সিম নিবন্ধন কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দুই মাস ধরে সব মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের জন্য তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেইসে পাঠাচ্ছে। সেখান হতে বেরিয়ে আসছে তথ্য সঠিক রয়েছে কি না।
তারানা হালিম সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেছেন, মোবাইল ফোন সংযোগের ক্ষেত্রে যাদের নিবন্ধন সঠিক রয়েছে, তাদের নতুন করে কিছু করতে হবে না। যাদের নিবন্ধন ঠিক নেই, তাদের কাছে এসএমএস যাচ্ছে মোবাইল ফোন সংযোগদাতার নিকট হতে। কেবলমাত্র তাদেরকে নতুন করে সিম নিবন্ধন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আরও জানান, আগামী ডিসেম্বর হতে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ শনাক্তকারী পদ্ধতির মাধ্যমে) প্রযুক্তিতে নিবন্ধন শুরু হবে। যাদের নিবন্ধনে সমস্যা রয়েছে তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির অগ্রাধিকার পাবেন। আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে।
নিবন্ধন করবেন যেভাবে
সিম নিবন্ধনের জন্য আপনার বাইরে যাওয়া দরকার নেই, ঘরে বসে সিম নিবন্ধন বা পুনর্নিবন্ধনের জন্য এসএমএস পদ্ধতি চালু করেছে দেশের সবকটি মোবাইল ফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান। বিনামূল্যে নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে কাজটি সহজেই করা যাবে।
সবগুলো সংযোগদাতার গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সিম নিবন্ধনের নিয়ম বা প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের গ্রাহকরা মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লিখবেন। তারপর পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ ও পূর্ণ নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে। এরপর তা পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০ নম্বরে। ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। আবার ভুল হলে সেটিও জানা যাবে।
তবে সিটিসেলের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের আগে ‘ট’ কথাটি লিখতে হবে। এরপর বাকি নিয়ম একই রকম। অর্থাৎ জন্মতারিখ এবং পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কিংবা কল সেন্টার হতেও সহায়তা নেওয়া যাবে।
সিম নিবন্ধন নিয়ে গ্রামীণফোন বলেছে, ‘আমরা গ্রাহকদের অবিলম্বে ১৬০০ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে তাদের তথ্য হালনাগাদ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই তথ্য পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার সময় কাজে আসবে। আমরা আগামী ১৬ ডিসেম্বর হতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
সিম নিবন্ধনের অ্যাপ
তবে আপনি চাইলে সিম নিবন্ধনের কাজটি স্মার্টফোনের একটি অ্যাপ দিয়েও সেরে নিতে পারেন। অ্যাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের জন্য প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর হতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ অ্যাপটি (https://goo.gl/JybLrI#sthash.KaG4f2cq.dpuf) নামিয়ে নিয়ে করতে হবে। অ্যাপটি চালু হয়ে গেলে সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ ও পুরো নাম লিখে send বাটনে চাপ দিলেই আপনার তথ্য এসএমএস আকারে চলে যাবে ওই ১৬০০ নম্বরটিতে।