দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিয়া খানের কথা মানুষ ভুলতে বসেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সংবাদ মাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয়েছে জিয়া খান। খবর বেরিয়েছে যে, অন্তঃসত্ত্বার কারণেই আত্মহত্যা করেছিলেন জিয়া খান!
বহুদিন পর আবার সেই ভারতীয় অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর ঘটনা জনসমক্ষে উঠে আসলো। জিয়া খানের মৃত্যু নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল। এবার বলা হয়েছে, জিয়া খানের মৃত্যু হত্যা নয়, এটি আত্মহত্যা বলে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তদন্ত বলছে যে, তবে জিয়াকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন তার সাবেক প্রেমিক অভিনেতা সুরাজ পাঞ্চোলি।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আত্মহত্যার সময় একটি চিঠি লিখে যান জিয়া খান, যা বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় যে, সুরাজ তার জীবনটা বিষিয়ে দিয়েছিলেন। সুরাজের কারণেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন জিয়া খান।
হতে জানা যায়, বাড়িতে গর্ভপাত ঘটিয়েছিলেন জিয়া খান। আর সেজন্য তাকে চাপ দিয়েছিলেন সুরাজ। গর্ভপাতের কারণেই তার হতাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা চার্জশিটে আরও বলেছে, অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরাজ জিয়াকে মারধর করেছেন এমন আলামতও পাওয়া গেছে। আরও বলা হয়, আত্মহত্যার সময় মদ্যপান করেছিলেন জিয়া খান।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবি আই বলছে, জিয়ার লেখা তিন পাতার আত্মহত্যার চিঠিতে উঠে এসেছে সুরাজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তার ওপর হওয়া শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের কথা। অবশ্য ওই চিঠিতে জিয়ার সই বা সুরাজের নাম লেখা নেই বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ের জুহু এলাকায় নিজ বাসভবনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জিয়া খানকে। এরপর থেকে তার আত্মহত্যা নিয়ে চলে নানা জল্পনা।