দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাগরতলে কতো রকম প্রাণী রয়েছে তা গুণে শেষ করা যাবে না। এসব প্রাণী ভয়ংকর ও বিস্ময়কর বটে। এসব ভয়ংকর ও বিস্ময়কর কয়েকটি প্রাণী সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদন।
সাগরতলে রয়েছে অদ্ভুত ও ভয়ংকর প্রাণীদের সম্ভার সকলকে বিস্ময়ে অভিভূত করে। এসব প্রাণীরা যেমন বিভিন্ন রঙে রঙিন, ঠিক তেমনি শিকারের পদ্ধতিও এদের এক এক জনের ভিন্ন। আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলতে পারে তার লিঙ্গও! আবার কিছু কিছু প্রাণী রয়েছে দেখতেও ভয়ানক কদাকার!
ড্রাগন ফিশ (dragonfish)
এই ড্রাগন ফিশ সমুদ্রের অন্তত ২ কিলোমিটার গভীরে বসবাস করে। ডিম ফোটার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এটি সমূদ্র তলদেশেই অবস্থান করে। ড্রাগন ফিশ Bio-luminescence পদ্ধতিতে সমুদ্র তলদেশে আলো তৈরি করে। ড্রাগন ফিশ নীচের চোয়ালের বড় বড় দাঁতগুলোকে শিকারে ব্যবহার করে থাকে।
ভ্যাম্পায়ার স্কুইড (vampiresquid)
বড় বড় চোখের প্রাণী হলো ভ্যাম্পায়ার। এরা সমূদ্রের অনেক গভীরে বসবাস করে। ভ্যাম্পায়ার নাম হলেও এরা মোটেও রক্ত পান করে না! সম্ভবত লাল বড় বড় চোখ আর চাদরের মতো ছড়ানো শরীরের কারণে এই নামকরণ করা হয়েছে।
চুনট হাঙ্গর (frilled)
চুনট হাঙ্গর আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায়। শিকার ধরার সময় এটি শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে অনেকটা সাপের মতো করে গিলে ফেলে। এটিকে জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বড় লাল জেলিফিশ (Big red jellyfish)
দৈর্ঘ্যে জেলিফিশ ১ মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। নামের সঙ্গে মিলিয়ে প্রাণীটির গায়ের রঙ হালকা লাল রঙ।
নীল বৃত্ত আঁকা অক্টোপাস (blue-ringed-octopus)
নীল বৃত্ত আঁকা অক্টোপাস হলো সমূদ্রের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীদের মধ্যে একটি। নীল বৃত্ত আঁকা অক্টোপাসের বিষ খুবই শক্তিশালী। সারা শরীরে নীল বৃত্ত আঁকা থাকে। তবে বিষাক্ত হলে দেখতে এই নীল বৃত্ত আঁকা অক্টোপাসকে চমৎকার দেখায়!
কফিন মাছ (Coffinfish)
ছোট্ট একটি গোলাপি রঙ এর মাছ হলো এই কফিন মাছ। এই মাছটি অনেকটা বেলুনের মতো ফুলে থাকে। এই মাছের সারা শরীরে ছোট ছোট কাটা। শুধু তাই নয়, এরা নিজেদের বেলুনের মতো করে ফুলিয়ে অনেকটা বড় করেও ফেলতে পারে!
ভুত হাঙ্গর (goblin-shark)
এই ভুত হাঙ্গর প্রাণীটি সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। তবে যতোবার এই দেখা গেছে, ততোবারই ভয়ংকর আঁকাবাঁকা দাঁত ও অদ্ভুত শারীরিক গঠনের জন্য সত্যিই যেনো ভৌতিক ছায়া ফেলে যা জেলেদের মনে ভীতির সঞ্চার করে।
সেল্প (Shelf)
এটি একটি ছোট্ট প্রাণী। এই সেল্প সমূদ্র তলদেশের কার্বন খেয়ে জীবন ধারণ করে যে কারণে এটি আমাদের পৃথিবীর জন্য খুবই উপকারী।