দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাবিশ্ব এখন চলছে ইন্টারনেটে। কীভাবে কোথায় ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ পাওয়া যায় তা নিয়েও ব্যস্ত সবাই। নতুন এক তথ্য পাওয়া গেছে, পাথরের সঙ্গে আগুন জ্বালালেই মিলছে ওয়াইফাই!
আসলে কী রয়েছে ওই পাথরে? দেড় টন ওজনের ওই পাথরটি রাখা রয়েছে মিউজিয়ামের বাইরে। ঘটনাটি ঠিক এমন যে, ওই পাথরের সামনে গিয়ে আগুন জ্বালালেই সঙ্গে সঙ্গে ওয়াইফাই সিগন্যাল চালু হয়ে যাচ্ছে! শুনে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি।
তাই একে অনেকেই কলিযুগের ‘পরশ পাথর’ বলছেন। এই পাথরের অদ্ভুত কাজ সত্যিই মানুষকেও অবাক করেছে। জার্মানির এক মিউজিয়ামে রাখা অদ্ভুত এই পাথরের ওয়াই-ফাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বেশ হইচই পড়ে গেছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকা ওই বিস্ময়কর পাথরকে সাধারণ মানের বলেই মনে হতে পারে। তবে এর ক্ষমতা দেখলে সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়। কিন্তু পাথরের ক্ষমতাকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই পাথরটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেও ধরতেই না পারেন যে পাথরের ভিতরে কিছু একটা আছে।
আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, আসল কথা হলো যে পাথরকে নিয়ে এতো হইচই আসলে সেটি মামুলি পাথর। বিজ্ঞানীরা পাথরটিকে কেটে ওই পাথরের ভিতরে একটি থার্মো ইলেক্ট্রিক জেনারেটর বসিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে পাথরের গায়ের কাছে আগুন জ্বালালেই সেটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সেই তাপকে বিদ্যুতে পরিণত করে। এই বিদ্যুৎ মিলতেই মিউজিয়ামের ওয়াইফাই রাউটারটি চালু হয়ে যায়। সাধারণ পর্যটকরা সেখানে গিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছে আর ওয়াইফাই-এর মজা নিচ্ছে!