দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলা হয়ে থাকে বিয়ে হলো জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধন। কিন্তু কখনও কখনও সেই বিয়েকে করে তোলা হয় কলঙ্কজনক। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠানে কবুল বলার পর ভালো করে মুখদর্শনও করেননি একে অপরের। তার আগেই নবদম্পতির বিচ্ছেদের ঘন্টা বেজে গেছে। সন্ধ্যায় বিয়ে হতে না হতেই ছো্ট্ট একটি ঘটনার কারণে সকালেই তালাক হয়ে গেলো এই নবদম্পতির।
ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের ঘটনা। ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজনর জেলার কারন্দা পাচু গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বর কারি ইমরানকে নিয়ে তার স্বজনরা প্রতিবেশী কারন্দা পাচু গ্রামে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যান। বিয়ের কিছুক্ষণ পরেই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। কনের পিতার অভিযোগ করেন, বরের ভাতিজা আকিব এবং এক নারী তাদের বাড়ি হতে ১ লাখ ৪৫ হাজার রুপি ও বেশ কিছু স্বর্ণের গহনা চুরি করেছে। বরপক্ষ পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। অপরদিকে কনেপক্ষের স্বজনরা বাজে আচরণ করছেন দাবি করে তারা ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ নেন।
এই সময় বর ও তার বাবাসহ সবাইকে কনের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সকালে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে, সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে বিয়ে করা স্ত্রীকে তালাক দিতে এক মুহূর্তও দেরি করেননি বর ইমরান।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ইমরান বলেছেন, কনেপক্ষের আচরণে তিনি অপমানিত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তালাকের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তবে মেয়েটিকে তালাক দিতে আমি সত্যিই বাধ্য হয়েছি।’