দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ঢিলেঢালাভাবে জামায়াতের হরতাল চলছে।
রাজশাহী, চাঁদপুর , ঢাকা থেকে মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকে রাজধানীতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংতার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গলির ভেতরে বিক্ষিপ্ত মিছিল ও পুরান ঢাকায় হাতবোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মতিঝিলের দৈনিক বাংলা মোড় থেকে একটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এটিকে নিষ্ক্রিয় করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জে হরতাল সমর্থকরা একটি বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
হরতালে বিশৃঙ্খলা এড়াতে রোববার ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নেন পুলিশ ও রেব সদস্যরা। সকাল থেকেই রাজধানীতে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি।
এদিকে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মীর হাজারীবাগে একটি যাত্রিবাহী বাস ভাংচুর করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা একটি পেট্রোল পাম্পে আগুন দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে সেখান থেকে দুই শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়াও সকাল ৮টার দিকে নগরীর ধোলাইখালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের ব্যানারে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে ৪টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কিন্তু রেল ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী।
সূত্রঃ সময় টিভি, সমকাল।