দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভালোবাসা এমন একটি জিনিস যা পৃথিবীর সবকিছুর থেকে একেবারেই ভিন্ন। এক দম্পতি মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করে সেটি প্রমাণ করলেন!
পাঁচ বছর আগের কথা। ২০১১ সাল হতে স্ত্রী জিনেট অ্যালজাইমার্স রোগে আক্রান্ত হয়ে সাউথ ডাকোটায় একটি নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন। স্বামী হেনরি অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়মিত দেখতেও যেতেন। তাদের মধ্যে ৬৩ বছরের সম্পর্ক! একে অপরকে ছেড়ে থাকা অসম্ভব। তবে শুধু জীবিত অবস্থায় তা নয়, মৃত্যুর পরেও নয়। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা হেনরি ও জিনেট ডি লাংগ দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ৬৩ বছর আগে।
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে নিয়তির নিয়মে ধীরে ধীরে দু’জনকেই বার্ধক্য গ্রাস করেছিল। ২০১১ সাল হতে স্ত্রী জিনেট অ্যালজাইমার্স রোগে আক্রান্ত হয়ে সাউথ ডাকোটায় একটি নার্সিং হোমে ভর্তি হন। স্বামী হেনরি তাকে নিয়মিতভাবে দেখতে যেতেন। কিছুদিন আগে হেনরিরও প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনিও ওই একই নার্সিং হোমে ভর্তি হন। স্ত্রী জিনেটের চিকিৎসা নার্সিং হোমের যে রুমে চলছিল, সেই একই রুমে থাকছিলেন তিনিও।
গত ৩১ জুলাই চিকিৎসকরা জানান যে, দু’জনেরই অবস্থা ভালো নয়। এর কিছুক্ষণ পর বিকেল ৫.১০ মিনিটে মারা যান জিনেট। আবার স্ত্রীর মৃত্যুর ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় স্বামী হেনরিও মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন!
ওই দম্পতির ৫ সন্তানের অন্যতম লি’র দাবি হলো, তাঁর বাবার মৃত্যুর ঠিক পরেই নার্সিং হোমের ওই ঘরের ঘড়িটিতে অস্বাভাবিক একটি জিনিস লক্ষ্য করা যায়। তিনি দাবি করেন, যে সময় তার বাবার মৃত্যু হয়েছিল, ঠিক সেই বিকেল ৫.৩০ মিনিটে ঘড়িটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল! একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে লি বলেছেন, ‘ভগবানের ইচ্ছেতেই আমার বাবা-মা’র এরকম সুন্দর মৃত্যু হয়েছে!’