দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাফনের আগ মুহূর্তে কেঁদে উঠেছিলো যে শিশুটি সেই শিশুটি আজ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছে।
এই শিশুটি ফরিদপুরে দাফনের ঠিক আগ মুহূর্তে কেঁদে ওঠে। শিশুটিকে হেলিকপ্টারে করে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর হতে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসা শুরু হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। কিন্তু শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি মোটেও ভালো ছিলো না। যে কারণে তার কিছু পরীক্ষার জন্য শরীর হতে রক্ত নেওয়া হয়। তবে যে স্থান হতে রক্ত নেওয়া হয় সেই স্থান হতে রক্ত বের হতে থাকে। সেই রক্ত আর বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে পরাজয় ঘটে নিষ্পাপ এই শিশুটির। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে দ্বিতীয়বারের মতো। যে মৃত্যু কেও কখনও ঠেকাতে পারে না। জগতের নির্মম সেই সত্যের কাছে হার মানতে হলো এই শিশুটিকে! শিশুটির নাম দেওয়া হয়েছিল গালিবা হায়াত।
উল্লেখ্য, ক্রিকেটার নাজমুল হুদা মিঠু এবং আইনজীবী নাজনীন আক্তার দম্পতির প্রথম সন্তান জন্ম নিয়েছিল ফরিদপুরের স্থানীয় ক্লিনিক ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে। জন্ম নেওয়ার পর সেখানকার এক চিকিৎসক জানান, কন্যা শিশুটি মৃত। এরপর তাকে সমাহিত করার জন্য কবরস্থানের নিয়ে যান স্বজনরা। তবে রাতে দাফন করবেন না বলে সকালে আসতে বলেন মাওলানা। আর সকালে দাফন করার ঠিক আগ মুহূর্তেই শিশুটি কেঁদে উঠে। নড়াচড়া করে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয় শিশুটি।
শিশুটির দাদা বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে নবজাতককে শহরের অালীপুর কবরস্থানে দাফন করার জন্য নিয়ে গেলে মাওলানা আব্দুর রব বলেন, সকালে দাফন হবে। পরে শিশুটিকে কার্টনে মোড়ানো অবস্থায় একটি কবরের পাশে রেখে চলে আসি। সকালে আমরা আবার কবরস্থানে গেলে আমার নানু ভাই কেঁদে উঠে।’