দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মায়ের গাড়িতে করে মেয়ে যাচ্ছিলেন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। সে সময় গাড়িতে বসে সেলফি তোলেন মেয়ে। সেলফিতে দেখা যায়, পেছনের সিটে বসে আছে বাচ্চা ভূত!
মায়ের গাড়িতে করে মেয়ে যাচ্ছিলেন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। এ সময় গাড়ির মধ্যে একটি সেলফি তোলা হয়। পরে দেখা যায়, সেলফিতে গাড়িটির পেছনের সিটে বসে থাকা একটি ভূতের বাচ্চার ছবি উঠে এসেছে। অতিপ্রাকৃত তৎপরতা বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস এটি কবর জগত হতে একটি সতর্কতা সংকেত ছিলো!
মেলিসা কার্টজ (৪৮) তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে হার্পারকে নিয়ে গাড়িতে করে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়েটি নিজের কিছু সেলফি তোলে। তবে মা দাবি করেছেন, তিনি পরে তার মেয়ের তোলা একটি ছবিতে তার গাড়ির পেছনের সিটে বসা একটি বাচ্চা ভূতের ছবি শনাক্ত করেছেন!
বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গিয়ে মেলিসা একটি বিষয় আবিষ্কার করেন, আর তা হলো, তার মেয়ে যেদিন ছবি তুলছিল সেদিন ছিল একটি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তি। তার ধারণা ওই দুর্ঘটনায় হয়তো কোনো শিশু নিহত হয়েছিলো। অতিপ্রাকৃত তৎপরতা নিয়ে অনুসন্ধানকারী বেশ কয়েকজন এই ছবি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন যে, হার্পারের দিকে ভূতের হাত তেড়ে এসেছে হয়তো।
তবে মেলিসা বলেন, তিনি ভূতের তাড়া নিয়ে মোটেও ভীত নন। তার মেয়ে হার্পারও অতিপ্রাকৃত তৎপরতার এক ম্যাগনেট।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা মেলিসা বলেছেন, ‘যেখানে ছবিটি তোলা হয়েছিল ঠিক সেখানটাতেই একবছর পূর্বে মারাত্মক একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আমি তখন একটি হেলিকপ্টারে করে কাকে যেনো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেখেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমি জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও আমাকে তারা নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি। যে কারণে আমি ধরে নিয়েছিলাম এটি কোনো শিশু হবে হয়তো। এ কারণেই তারা আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি।’
ভূতের বাচ্চার ছবিটির ব্যাপারে মেলিসা বলেছেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিশ্বকে ছবিটি দেখতে হবে। কারণ আমি জানি এটি বাস্তব ছবি। গাড়িতে আমরা মা-মেয়ে দুজন মাত্র ছিলাম।’
ফক্স নিউজ বলেছে, কানাডার এইডোলোন প্রজেক্টে কর্মরত মনোবিজ্ঞান, পরকাল ও অতিপ্রাকৃত অধ্যায়ন বিভাগের পরিচালক গ্রেগ পোচাতে ছবিটি দেখান মেলিসা। গ্রেগ পোচা এফবিআই ও সিআইএ ছবি বিশ্লেষণে ব্যবহার করে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ছবিটি বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, গাড়ির পেছনের সিটে বসে থাকা ভূতের বাচ্চার ছবিটির কোনো রং কিংবা তাপমাত্রা নেই। তার অর্থ হলো, এটি নিশ্চয়ই কোনো ভূতের ছবিই!