দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও বলপ্রয়োগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধে আহ্বান জানানো হয়েছে।
সহিংসতা বন্ধে দেশটির সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়াও দেশটির প্রতি রাখাইনে মানবিক সহায়তাকর্মীদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সময় বুধবার দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ এবং আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে গত বুধবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রফট এক বিবৃতিতে বলেতছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনায় পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও তা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। রাখাইন রাজ্য এবং রোহিঙ্গাদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাখাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের সুরক্ষা, সামজিক এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করা ও শরণার্থী সমস্যা নিরসনের আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানানো হয়। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এই বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রাখাইন পরিস্থিতির একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছেন ও কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়।
ম্যাথিউ রাইক্রফট জানান, পরিষদের অনেক সদস্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানান। তারা এই ইস্যুতে প্রেসিডেন্সিয়াল বিবৃতিরও আহ্বান জানিয়েছেন, যা অফিসিয়াল রেকর্ড হিসেবে রয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার ইস্যুতে দীর্ঘ ৯ বছর পর নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, যে সংখ্যায় মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকছে, সে তুলনায় ত্রাণ-সাহায্য অত্যন্ত অপ্রতুল। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, অতিদ্রুত সাহায্যের মাত্রা অনেক বাড়াতে হবে।