দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও মঙ্গল গ্রহে পানির উপস্থিতির আরও আলামত উপস্থাপন করেছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠজুড়ে ৩৫০ কোটি বছরের পুরোনো নদীর গতিপথের ধারা সনাক্ত হয়েছে। যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এই গ্রহটি একসময় তরল পানির প্রবাহ ধারণ করতে পারতো।
মঙ্গলগ্রহের এওলিস ডরসা নামে একটি অঞ্চলে সবচেয়ে ঘন ও ব্যাপক আকারে নদীর পলি জমে থাকতেও দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এই প্রাচীন নদীগুলোর গতিপথের ছবি পাওয়া যায় মূলত একটি বিশেষ ভূতাত্ত্বিক ঘটনার কারণে। টপোগ্রাফিক ইনভারশন বা যাকে বলে ভূমির বিপরীতায়ন নামের এই ঘটনায় প্রাচীন অগভীর নদীগুলোতে পলি জমে যাওয়ার মাধ্যমে এদেরকে গভীর খাঁজের মতোই দেখা যায়।
জ্যাকসন স্কুল অব জিওসায়েন্সের গবেষক বি. টি. কার্ডেনাস এবং তার সহকর্মীবৃন্দ কৃত্রিম উপগ্রহে স্থাপিত উচ্চ রেজ্যুলেশনের ক্যামেরার মাধ্যমে সংগৃহীত উচ্চ মানের ছবি এবং ভূমিগত তথ্যের সমন্বয়ে সমুদ্রতট সংলগ্ন পলিজাতীয় স্তর সনাক্ত করতে সমর্থ হন বলে দাবি করেছেন। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার রেকর্ডও পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।
দুই ধরনের পর্যবেক্ষণ একত্রিত করে দেখা যায় যে, নদী বিধৌত পলির স্তর একদা খোদিত উপত্যকাগুলোকে পূর্ণ করেছে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে এই ধরনের উপত্যকা সমুদ্রপৃষ্ঠের হ্রাস বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একবার ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, আবার ভরাটও হয়।
কার্ডেনাস ও তার সহ-গবেষকবৃন্দ একই ধরনের পর্যবেক্ষণ করেছেন মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে। তারা দেখেছেন যে, পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের যেমন হ্রাস-বৃদ্ধির আলামত দেখা গেছে, ঠিক তেমনি উপত্যকাগুলোর গঠন পর্যবেক্ষণ করে তেমনই আলামত পাওয়া গেছে মঙ্গলে- এমন দাবি করেছেন গবেষকরা। এসব তথ্য থেকে গবেষকরা বুঝতে পারছেন যে মঙ্গলে একদা প্রবাহমান জলস্রোত ও সমুদ্রও ছিলো বিদ্যমান।