দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দানবে’ পরিণত হয়েছে ফেসবুক! মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিদ্বেষ ছড়াতে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিদ্বেষ ছড়াতে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার করে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াংহি লি বলেছেন, এক ‘দানবে’ পরিণত হয়েছে ফেসবুক। তিনি এই নেটোয়ার্ককে বিদ্বেষ দ্বন্দ্ব এবং সংঘাতের চালিকা শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সহিংসতা বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, মিয়ানমারের জনগণ বেসামরিক এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে ফেসবুকের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মতে, ‘হেট স্পিচ’ ছড়ানোতে ভূমিকা রাখছে এই ফেসবুক।
ইতিপূর্ ফেসবুক জানিয়েছিল যে, মিয়ানমার ইস্যুতে স্পর্শকাতর ও ঘৃণা ছড়ায় এমন খবরগুলো সরিয়ে ফেলতে কাজ করছেন তারা। তবে জাতিসংঘের মন্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু অবশ্র জানায়নি ফেসবুক।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসম্যান বলেন, মিয়ানমারে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক যোগাযোগ মানেই ফেসবুক এবং ফেসবুক মানেই সামাজিক যোগাযোগ।
ইয়াংহি লি আরও বলেছেন, ফেসবুক মিয়ানমার জনগণের জীবনের অংশ। সরকার জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে তথ্য ছড়াচ্ছে। মিয়ানমারে ফেসবুকের মাধ্যমে সবকিছুই হয়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা তল্লাশির নাম করে সামরিক হামলা চালানো হয়। তারমধ্যে সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অনেকেই নিগৃহীত এবং নৃশংসভাবে খুন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।