দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাজার তারার আলো হতে অনেকটাই দূরে। ব্রহ্মাণ্ডের অন্য এক প্রান্তে। খুব চেনা নয়, এমন একটি প্যাঁচানো ছায়াপথে একাকি এক তারা। এবার পৃথিবীর দূরতম এই নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা!
বিজ্ঞানীরা হিসেব কষে দেখেছেন যে, সেখান থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগছে অন্তত ৯০০ কোটি বছর! অর্থাৎ এই গ্রহ হতে দূরত্ব ৯০০ কোটি আলোকবর্ষ। হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপে সম্প্রতি এমনই এক বিচ্ছিন্ন নীলচে তারার ছবি ফুটে উঠেছে বলে দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত এটিই পৃথিবী হতে সবচেয়ে দূরের একটি তারা। যার পোশাকি নাম হলো, ‘ইকারাস’।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ইতিপূর্বে যে তারার অবস্থানকে দূরতম বলে মনে করা হতো, ইকারাস তার চেয়েও ১ শত গুণ দূরে। এতোখানি দূরত্বে যার অবস্থান, তার ছবি সাধারণত ফিকে হওয়ারই কথা ছিলো। নাসা যদিও বলছে যে, তারা স্পষ্ট নীলচে আলো দেখতে পেয়েছেন। এই ‘অঘটন’ সম্ভব হয়েছে হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপের অসামান্য দৃষ্টিশক্তির কারণে! মহাকাশে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের আয়ত্তে অথচ ভাসমান প্রথম ও একমাত্র দূরবীক্ষণ যন্ত্র এটি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম হয়েছিল আজ হতে ১ হাজার ৩৭০ কোটি বছর পূর্বে। সেই হিসাব মতে সদ্য-অাবিষ্কৃত এই তারাটি ব্রহ্মাণ্ডের বয়সের তিন-চতুর্থাংশ সময়কার আগের। ৯০০ কোটি বছর পূর্বে আলো পাঠিয়েছিল ইকারাস। সে কারণে মহাবিশ্বে এখনও সে টিকে রয়েছে কি না, তার খতিয়ান নেই কারও কাছে। তবে বিজ্ঞানীরা থেমে নেই। তারা গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। হয়তো দূরবর্তী এই নক্ষত্র সম্পর্কে আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য পাবো।