দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড সুপারস্টার সঞ্জয় দত্ত ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আদালত কর্তৃক ৫ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত হয়েছেন। এই মামলার আইনজীবি ছিলেন রিজোয়ান মার্চেন্ট। দুঃখজনক খবর হচ্ছে, গত সোমবার ১০ জুন, রিজোয়ান মার্চেন্টের পুত্র, স্ত্রী এবং মা মুম্বাইয়ের একটি বিল্ডিং ধ্বসের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
গত সোমবার রাতে অপরাধ আইনজীবী হিসেবে খ্যাত রিজোয়ান মার্চেন্ট তার পরিবার নিয়ে আলতাফ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় ব্যস্ত ছিলেন। গরমের ছুটি কাটিয়ে সেদিনই তিনি এবং তার জ্যেষ্ঠ সন্তান ফাইয়াজ মুম্বাই ফিরেছিলেন। কিন্তু আকস্মিকভাবেই মুম্বাইয়ের আলতাফ ম্যানশন ধ্বসে পড়লে মার্চেন্ট তার পরিবারের তিনজন সদস্যকে চিরতরে হারান।
রিজোয়ান মার্চেন্ট তার মা তাহিরা (৭৮), স্ত্রী আসিফা (৫০) এবং তার কনিষ্ঠ পুত্র ফারাজ (১৩) এর মৃতদেহ মঙ্গলবার সকালে সে ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করেন। এ বিল্ডিং ধ্বসে দশ জন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছে। আহত ছয় জনের চার জন হাসপাতালে আর বাকি ২ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মার্চেন্টের কাছ থেকে জানা যায়, ফারাজ মধ্যরাত পর্যন্ত বারবার ফোন করে তাকে জানায় যে এখনো জীবিত আছে কিন্তু উদ্ধারকারীরা সনাক্ত করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ফারাজকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অতিরিক্ত পৌর কমিশনার মোহন আতানির বক্তব্য অনুযায়ী সোমবারের প্রবল বর্ষণ অথবা বিল্ডিং কোড না মেনে দূর্বল কাঠামোর অবৈধ বিল্ডিংটি নির্মাণ এই ধ্বসের কারণ হতে পারে।
জানা যায়, প্রায় দু ‘বছর আগে BMC (Brihanmumbai Municipal Corporation) কে মার্চেন্ট অভিহিত করেন এই বিল্ডিং এর নিচ তলায় একটা শো রুমের ব্যাপারে, যার কারণে বিল্ডিং এর গঠন প্রক্রিয়াতে কিছুটা পরিবর্তন আনার অনুরোধ করেছিলেন যাতে করে ধ্বস বা যেকোন দূর্ঘটনা হতে ঝুঁকিমুক্ত রাখা যায় বিল্ডিংটাকে। কিন্তু অভিযোগ করেও এ ব্যাপারে কোনও লাভ হয়নি, ফলশ্রুতিতে বিল্ডিং ধ্বসে তাকে হারাতে হলো নিজের প্রিয়জনদের।
উল্লেখ্য, সারা জীবনের কাজের মধ্যে রিজোয়ান মার্চেন্ট নানা আইনি কাজে জড়িত থাকলেও তিনি বেশী পরিচিত সঞ্জয় দত্তের হয়ে মামলা লড়ার ক্ষেত্রে। সঞ্জয় যে ১৯৯৩ সালের বোমাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন না তা প্রমাণে তিনি কাজ করেন। এতে তিনি অভিনেতার ফ্লাট বাড়িটিকেও মুক্ত করতে সমর্থ হন।
তথ্যসূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস