দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর নিম্ন আয়ের দৈনন্দিন জীবনে ঠিক কবে একজন দিন মজুর মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছেন তা মনে করতে নিশ্চয় তার অনেক ভাবতে হবে। চালের যে দাম তার সাথে মাংসের দাম যোগ করলে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সত্যিই তা বিলাসিতায় পরিণত হয়ে যায়। মৌলিক চাহিদা হলেও সত্যিই অনেক পরিবারে এটা কিনে খেতে পারে না। অথচ টাঙ্গাইল সদরে ‘রবিন হুড’ নামের হোটেলে বিনা পায়সায় খাবার দিচ্ছে গরীব দুখি মানুষের পাতে।
এখানে প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর প্রায় ২০০ লোকের জন্য মুরগীর মাংস ভাত আর ডালের ব্যবস্থা করা হয়। অনেক কুলি দিন মজুর এবং গরীব দুখি খেটে খাওয়া মানুষ এই খাবার খেয়ে তাঁদের আয়ের একতা অংশ সঞ্চয় করতে সক্ষম হন।
মূলত টাঙ্গাইল শহরের নিরালা হোটেলের মালিক মির্জা রুবোল নিজ উদ্যোগে এই গরিবের হোটেল রবিন হুড চালু করেন। এক সময় রবিন হুড হোটেল প্রতিদিন গরীব মানুষের জন্য খাবার বেবস্থা করতেন। প্রথম অবস্থায় প্রতিদিন ২০-৩০ জন লোকের জন্য হোটেলে রান্না হত। হোটেলের লাভের নির্দিষ্ট একটা অংশ দিয়ে প্রতি দিন গরিব মানুষদের খাওয়াতেন তিনি। কিন্তু দিন দিন এই মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরবর্তীতে তিনি শুধু শুক্রবার দুপুরে ১৮০-২০০ জন লোকের জন্য মাংস এবং ডাল ভাতের আয়োজন করেন।
তবে যদি বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন তবে এই আয়োজন প্রতিদিন করা সম্ভব। আর্থিক সাহায্য পেলে টাঙ্গাইলে প্রতিদিন ১৫০-২০০ জন লোকের জন্য রবিন হুড হোটেল চালু রাখা সম্ভম বলে মনে করেন আয়োজকরা।
তথ্যসূত্রেঃ বাংলানিউজ২৪