দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন ছিল গতকাল (শনিবার)। বিশেষ এই দিনটিতে তাকে দেশি-বিদেশি অনেক গুনগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাদ গেলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন ছিল গতকাল (শনিবার)। বিশেষ এই দিনটিতে তাকে দেশি-বিদেশি অনেক গুনগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাদ গেলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।
এক টুইট বার্তায় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মমতা লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী আরও দৃঢ় হোক, আমি এই কামনাই করি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল (শনিবার) শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বায়তুল মোকাররমে কুরআনখানি, মিলাদ এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিলো। বিভিন্ন আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারাদেশেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন তার জন্মদিন উদযাপনে করেছে।
সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিময়িং’র তরফে শেখ হাসিনার জন্য ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠানো হয়। চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা ইউ প্যাং’র নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে গণ ভবনে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় তার পক্ষে ফুল গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এবং প্রটোকল অফিসার খুরশিদ আলম।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। গতকাল ভোরে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চার দফা প্রস্তাবও পেশ করেছেন।
১) রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে।
২) বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।
৩) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হতে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
৪) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণগুলো বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।