দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা সপ্তাহ কাজের পর একটি বা দুইটি দিন ছুটি। ওই ছুটির দিন কী করবেন বা কী করবেন না তা ভাবতেই ভাবতেই দিনটা শেষ হয়ে যায়।
ঠিকভাবে যে নিজের পরিচর্যা করবেন, তার উপায়ও থাকে না। কখন যে চোখের পলকে হুট করে ছুটির দিন কেটে যায়, তা বুঝতেই পারা যায় না। পরের দিন সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে সেইসব ক্লান্তির রেশ। সপ্তাহের শুরুতেই যে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবেন, তার উপায়ও থাকে না। বার বার চা-কফি খেয়ে সাময়িক ক্লান্তি কাটলেও তার জের বেশিক্ষণ চলেও না। তবে এই ক্লান্তি সহজেই কাটাতে পারে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর বেশ কিছু পুষ্টিকর খাবার।
কিনোয়া
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎসই হলো এই কিনোয়া। এই দানাশস্যটি পুষ্টিবিদদের কাছে ‘ক্লমপ্লিট’ প্রোটিন নামেও পরিচিত। এছাড়াও এই দানাশস্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড, যা শরীরের পেশি মজবুত রাখতেও সাহায্য করে। রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই কিনোয়া। যে কারণে ঝিমিয়ে পড়ার সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেট স্বাদে একটু কড়া। তবে ডার্ক চকোলেটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটা বেশি। থিয়োব্রোমাইন নামক এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটি শরীরে ক্যাফিনের মতো কাজ করে। যে কারণে স্নায়ু সজাগ রাখতেও সাহায্য করে। তাছাড়াও ডোপামিন হরমোনের উৎপাদন ও ক্ষরণের হার বেশ বাড়িয়ে তোলে। যে কারণে মনমেজাজও বেশ চাঙ্গা থাকে।
কমলালেবু
ভিটামিন সি ও প্রাকৃতিক শর্করা ফ্রুক্টোজ়-এ ভরপুর এই কমলালেবু। নিয়মিত একটি করে কমলালেবু খেতে পারলে ক্লান্তি কেটে যাবে ও মন তরতাজা থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org