ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ॥ দীর্ঘ ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ঈশ্বরদী বিমান বন্দর। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প ভিত্তি স্থাপনের পর ঢাকার সঙ্গে ঈশ্বরদীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারি ঈশ্বরদীতে এসে বিমান বন্দরটি চালু করার কাজ শুরু করেছেন। প্রথমে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে এটি চালুর কথা-বার্তা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি কিছু সমস্যা থাকায় পরে সিদ্ধান্ত হয় ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হবে। গ্রামীণফোনের একটি টাওয়ার বিমানবন্দরের এপ্রোচ পথের মাঝ বরাবর পড়ায় তা অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ছবি- এস. আলম (নিহার)
স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলু বলেছেন, সরকার বিমানবন্দরটি চলতি অক্টোবর মাসেই চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে এটি চালুর কারণে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞদের যাতায়াত যেমন সহজতর হবে তেমনি ঈশ্বরদী ইপিজেডেও বিনিয়োগ বাড়বে। শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঈশ্বরদীর গুরুত্ব বেড়ে গেছে। ইপিজেডে বহু বিনিয়োগ হয়েছে। তিনি বলেন, ঈশ্বরদী বিমান বন্দর চালু হলে ইপিজেডে বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
ছবি- এস. আলম (নিহার)
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ৪১২ একর জমির উপর ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। সে সময় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে তৈরির পর ডাকোটা উড়োজাহাজ চলাচল শুরু করে। সাবেক পাক আমলে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরে প্রতিদিন সকাল বিকাল দুটি করে ফ্লাইট চালু ছিল। স্বাধীনতার পর এটি কমে শুধুমাত্র সকালে চলতে থাকে। এরপর ঈশ্বরদীর অদূরে রাজশাহী বিভাগীয় শহর হওয়ায় সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি বিমান বন্দর। যে কারণে বিমান চলে কমে সপ্তাহে এক দিন করে চলতে থাকে। এরপর লোকসান দেখিয়ে ৯৬ সালের ৩ নভেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য ঈশ্বরদী থেকে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় যাত্রী সংখ্যা কম হলেও প্রচুর মালামাল পরিবহনের কারণে কোন লোকসান ছিল না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।