দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিনি রেস্তোরাঁয় থালাবাসন মাজতেন, সেখান থেকে তিনি এখন হয়েছেন ধনকুবের! বর্তমানে তার সম্পত্তির পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি!
`অসম্ভবকে সম্ভব` করা এই মানুষটির নাম শাহিদ খান। শাহিদ খানের জন্ম হয় পাকিস্তানে। পাকিস্তান থেকে তিনি আমেরিকা গিয়েছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। বর্তমানে ৬৬ বছর বয়সে তিনি শাসন করছেন মার্কিন অর্থনীতি।
লাহোরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হয় শাহিদ খানের। বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, তার মা ছিলেন গণিতের অধ্যাপিকা। সেই ১৯৬৭ সালের কথা। ১৬ বছরের শাহিদ খান পাড়ি জমান আমেরিকা, ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে। পরে সেখান থেকে তিনি পাশ করেন মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ।
ছাত্রজীবনের শুরুতে আমেরিকার রেস্তোরাঁয় বাসন মাজার কাজ করতেন শাহিদ খান। তার পারিশ্রমিক ছিল ঘণ্টা প্রতি ১ দশমিক ২০ ডলার। তিনি থাকতেন একটি হোটেলে।
এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে শাহিদ খান চাকরিতে যোগ দেন ইলিনয়ের ফ্লেক্স-এন-গেট নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের মালিক! গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি করে তার এই প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও শাহিদ খানের মালিকানায় রয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল)-এর পেশাদার ফুটবল দল জ্যাকসনভিল জাগার্স এবং ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের-এর দল ফুলহাম এফ.সি.।
শাহিদকে ফোর্বস পত্রিকা বলেছে, `তিনি গোটা আমেরিকার স্বপ্নের প্রতীক কিংবা সমার্থক`। আসলেও তাই। ফোর্বস এর এই মন্তব্য শাহিদ খানের জন্য সঠিক মন্তব্য!