দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষকদের গবেষণার যেনো শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা নানা সময় নানা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এবার মঙ্গল গ্রহে পাওয়া গেলো নারীর মৃতদেহ!
বিজ্ঞানীরা সব সময় চেষ্টা চালাচ্ছেন পৃথিবীর বাইরে জনবসতি স্থাপনের। এ ক্ষেত্রে নাসার বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্য হলো, লাল গ্রহ হিসেবে খ্যাত মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন। এই গ্রহটিতে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আগে থেকেই গবেষণা চালিয়ে আসছেন নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে মঙ্গল গ্রহে কখনও পানি বা প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো কি না, সে বিষয়ে অনেক বছর ধরেই অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
মঙ্গল গ্রহে অতীতে কখনও কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো বা বর্তমানেও রয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নাসা তাদের গবেষণায় এখন পর্যন্ত পাননি। তবে ইউএফও গবেষকরা এই বিষয়ে নাসার সঙ্গে একমত নয়। কেনোনা, বরাবরই ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে ভিনগ্রহে প্রাণীদের বসবাস ছিলো বা এখনও রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন।
এই গ্রহটিতে সাম্প্রতিক সময়ে কাজ করছে নাসার একাধিক রোবটযান। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ২০০৪ সালে পাঠানো অপারচুনিটি রোভার ও ২০১২ সালে পাঠানো কিউরিসিটি রোভার। শক্তিশালী এসব রোবটযান মঙ্গল গ্রহের ভূত্বক ও পরিবেশ নিয়ে নানা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এরা একের পর এক ছবিও পাঠাচ্ছে।
তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এসব রোবটযানের পাঠানো নাসা কর্তৃক প্রকাশিত মঙ্গলগ্রহের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে, ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো বা এখনও রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন।
ইতিমধ্যে মঙ্গল গ্রহে বিভিন্ন প্রাণীর জীবাশ্ম, মূর্তি, কামান, চামচ, কবর, মমি, জুতাসহ নানা কিছু দেখার দাবি করেছেন ইউএফও গবেষকরা। আর এবার এই তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে নারীর মৃতদেহ! এ তথ্য দিয়েছে মিরর।
সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের ওই ছবি বিশ্লেষণ করে গ্রহটিতে মৃত নারীর দেহ দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করে ফের শোরগোল বাধিয়ে দিয়েছেন ইউএফও নিউজের জনপ্রিয় সাইট ‘ইউএফও সাইটিংস ডেইলি’র প্রতিষ্ঠাতা স্কট সি। ওই নারী দেহ পাওয়ার ঘটনাটিকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘শতাব্দীর সেরা সন্ধান’ হিসেবেই।
তিনি বলেছেন, নাসার একটি ছবিতে মঙ্গলের মাটিতে আমি এমন একটি অশোধিত আকৃতি দেখতে পেয়েছি, যেটি সেখানের স্থানীয় কারো অধিবাসীর শরীর বলে মনে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ভূমিক্ষয় ও সম্ভবত সেখানে যুদ্ধের ঘটনাও ঘটেছিল। এটাকে আমি ‘শতাব্দীর সেরা সন্ধান’ বলে মনে করছি। কারণ ওই অশোধিত ফিগারটি দেখতে একটি মৃত নারী দেহের মতোই, তার দুটো হাত, দুটো পা এবং একটি মাথাও স্পষ্টভাবেই লক্ষণীয়।
‘মঙ্গল গ্রহের প্রকাশিত ওইসব ছবি বিশ্লেষণ করে সেখানে ভিন্ন প্রজাতির উপস্থিতি ছিলো বা এখনও রয়েছে এমন ১০০ বেশি বৈশিষ্ট্যে আমি এই পর্যন্ত পেয়েছি। তবে সেখানে কখনও মানব সাদৃশ্য কোনো কিছুর দেখা মেলেনি, যা এবার দেখতে পাওয়া গেলো। ওই নারী আকৃতির কঙ্কালটির পোশাকের ধরন যদি অনুমান করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে এটি ১৭০০ সালের পৃথিবীর নারীদের পোশাকের মতোই।
উল্লেখ্য, ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার বিষয়ে নানা কিছু দেখার দাবি করে আসলেও, তাদের এই একের পর এক দাবির ব্যাপারে নাসা সব সময়ই নীরব। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গল গ্রহে বসবাস করার জন্য মানুষ পাঠানোর নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।