দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নেতাদের এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললেন!
ইসরায়েলিরা পশ্চিমতীরে তাদের ‘নিজস্ব ভূমিতে বসতি’ গড়ে তুলছে মন্তব্য করে তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান। তার ওই মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্বাস বলেন, কুকুরের বাচ্চাটি বলেছে, তারা নাকি তাদের নিজেদের ভূমিতে আবাস গড়ে তুলছে। সে নিজে একজন বসতি স্থাপনকারী, তার পরিবারও বসতি স্থাপনকারী, এই ব্যক্তিই তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত! তার কাছে আমরা আর কীই বা আশা করবো?
আব্বাসের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফ্রিডম্যান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
জেরুজালেমে ‘বিশ্বব্যাপী ইহুদিবিদ্বেষ-বিরোধী লড়াই’ বিষয়ক এক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ফ্রিডম্যান বলেছেন, তিনি (আব্বাস) আমাকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ অভিহিত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এটি ইহুদিবিদ্বেষ না রাজনৈতিক ডিসকোর্স? এটি আমার বিচার্য নয়, এর দায়িত্ব আমরা আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
এক বিবৃতিতে আব্বাসের মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত অসঙ্গত’ অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন দূত জেসন গ্রিনব্লাট। তিনি বলেছেন যে, ঘৃণাপূর্ণ কথাবার্তা অথবা জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা, তারমধ্যে একটিকেই বেছে নিতে হবে ফিলিস্তিনি এই নেতাকে।
জানা যায়, রাষ্ট্রদূত ফ্রিডম্যান ইসরায়েলের বসতিস্থাপন পরিকল্পনার একজন দৃঢ় সমর্থক। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পেছনে প্রথম হতেই জোরালো ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
ট্রাম্পের ৬ ডিসেম্বরের ওই ঘোষণায় ইসরায়েল সরকার খুশি হলেও ফিলিস্তিনিরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। তারপর হতে মার্কিন ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। জেরুজালেমকে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অবিভাজ্য রাজধানী বলে বিবেচনা করে থাকে ইসরায়েল। অপরদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ফিলিস্তিনিরাও।