দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট ছেলে অনির্বাণ সরকারের সঙ্গে এই প্রথম অভিনয় করলেন অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। তার অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘এক চিলতে রোদ্দুর’ আসছে।
বিশ্বজুড়ে এক অস্থির অবস্থা তৈরি করেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। সমগ্র বিশ্ব স্থবির ও স্তব্ধ। স্তব্ধ বিশ্ব মিডিয়াও। বাংলাদেশের মতো ছোট দেশের ইন্ডাস্ট্রিও তার বাইরে নয়। তবু স্বল্প পরিসরে নতুন উদ্ভাবনী চিন্তায় দেশের নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরাও বসে নেই। নির্মাণ করছেন করোনাকালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অসীম গোমেজের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে ‘এক চিলতে রোদ্দুর’ নামক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত একজন রোগীর অতীত, বর্তমান এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পরিবারের লড়াই করে বেঁচে থাকার গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই ‘এক চিলতে রোদ্দুর’ স্বল্পদৈর্ঘ্যটিতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নিজেদের বাসা থেকেই অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ফারজানা ছবি, এ কে আজাদ সেতু এবং অনির্বাণ সরকার। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই স্বল্পদৈর্ঘ্য দিয়েই অভিষিক্ত হয়েছেন ফারজানা ছবির ছোট ছেলে অনির্বাণ সরকার। তাছাড়াও স্বল্পদৈর্ঘ্যটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন ফারজানা ছবির স্বামী তন্ময় সরকার।
অভিনয় সম্পর্কে ফারজানা ছবি বলেন, কয়েক মাস যাবত আমরা কোনো শুটিং করতে পারছি না। এই সময়টা আমাদের খুবই খারাপ যাচ্ছে। তবে করোনায় আক্রান্ত মানুষ এবং তার পরিবার এই সময়ে কেমন করে লড়াই করছে সেই বিষয়গুলো আমাদের স্বল্পদৈর্ঘ্যটিতে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের ছোট পুত্র অনির্বাণ অভিনয় করেছেন। এটিই অনির্বাণের প্রথম অভিনয়। অপরদিকে তন্ময়ও এই প্রথম চিত্রগ্রহণ করলো। এছাড়াও আমি একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতও গেয়েছি। সব মিলিয়ে আশা করছি ভালো একটি কাজ দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবো আশা করছি। স্বল্পদৈর্ঘ্যটির বাকি কাজ শেষ হলে কোনো টিভি চ্যানেল কিংবা ওয়েব পোর্টালে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি প্রচার করা হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।